খবরটি প্রচারের আলোয় আসুক তা চাননি কেউই। কিন্তু, আগুনকে কি ছাই চাপা দিয়ে রাখা যায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এল সোমবার। কলকাতার এক চিকিৎসক কি ভাবে হাসপাতালের প্রোটোকল ভেঙে এক বাংলাদেশি তরুণীর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তার মর্মস্পর্শী কাহিনি। খুলনার বাসিন্দা রাবেয়া মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে অ্যাসিড খেয়েছিলেন। তাঁর শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই কারণে। এমনই অবস্থা হয় যে খাদ্যনালী দিয়ে তিনি কিছু খেতে পারছিলেন না। মা নার্গিস বিবি মেয়েকে নিয়ে কোনোরকমে সীমান্ত পাড় হয়ে ভারতে চলে আসেন।
আসেন কলকাতায়। আত্মীয় পরিজনের মুখে শুনেছিলেন কলকাতায় ভালো চিকিৎসা হয়। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান তাঁরা। হাসপাতাল চিকিৎসার জন্যে পাঁচলক্ষ টাকা দাবি করে। নার্গিস কোথায় পাবেন টাকা? একজনের কাছে খবর পেয়ে নার্গিস মেয়েকে নিয়ে আসেন ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক ডাঃ অর্ণব গুপ্ত রাবেয়াকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু, ঠাকুরপুকুর হাসপাতাল ক্যান্সার রোগীদের জন্যে নির্দিষ্ট। রাবেয়ার চিকিৎসা এখানে কি ভাবে হবে? ডাঃ অর্ণব গুপ্ত হাসপাতালের প্রোটোকল ভেঙে রাবেয়ার এন্ডোস্কোপি করেন ক্যান্সার হাসপাতালে। দেখেন, রাবেয়ার শ্বাসনালী ও খাদ্যনালী সরু হয়ে এসেছে। এরপর বাইরের একটি ছোট নার্সিংহোম এ বেলুন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে অপারেশন করেন তিনি। রাবেয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হন। এরপর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে নার্গিস ও রাবেয়া বাড়ি ফেরেন। অকথিত এই কাহিনি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকের চোখই সজল হয়ে উঠেছে।