× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রায়পুরে থামছে না কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য

বাংলারজমিন

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২৪ নভেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সম্প্রতি কিশোর অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশের অভিযানের পরও থামছে না কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে কিশোর অপরাধীদের দাপট। বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালনা, বখাটেপনা, যত্রতত্র বিপজ্জনক ঘোরাঘুরি, এমনকি ছিনতাইয়ে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে উঠতি বয়সী এসব তরুণ ও যুবক। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে থানা পুলিশ। তাছাড়াও মাদকাসক্ত, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে রয়েছে তাদের পদচারণা। সম্প্রতি এদেরই একটি গ্রুপ এক যুবককে পিটিয়ে আহত ও মেয়েদের যৌন হয়রানির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সচেতন মহল। বিভিন্ন এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী পরিবারের বখে যাওয়া কিশোর ও তরুণদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়ে আসছে এসব গ্যাং এর অপতৎপরতা।
এদের দমনে পুলিশ তৎপর হলেও সংশ্লিষ্টদের পরিবার, রাজনৈতিক এবং প্রভাবশালী হওয়ায় অনেক সময় এদের দমনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। রায়পুরে অসংখ্য কিশোর গ্যাং গ্রুপের সন্ধান রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছে। উপজেলাব্যাপী দাপিয়ে বেড়ানো এসব কিশোর গ্যাং এর সংগ্রহে রয়েছে বেশকিছু মোটরসাইকেল। তাছাড়া ধারালো দেশীয় অস্ত্র লেজার নিয়ন্ত্রিত ইন্ডিয়ান চাকু ছিনতাই কাজে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বামনী ইউপির বাংলা বাজার ও মধ্য সাগরদী এলাকায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কিশোর গ্যাং এর হাতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী বলেন, এসব অপকর্ম রোধে সবার আগে পরিবার তথা অভিভাবকদের মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা প্রশাসনিকভাবে তাদের এ সকল কার্যক্রম বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, অভিভাবকদের কেউ তাদের সন্তানদের বিষয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ধ্যার পর তাদের সন্তানরা কোথায় যায় কি করে? তা খোঁজ রাখতে হবে। ইপটিজিং ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে প্রত্যেকটি সভায় সমাবেশে ও কমিটি পুলিশের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি, অভিভাবকদের সঙ্গে তাদের সন্তানদের সচেতনতার লক্ষ্যে আলাপ আলোচনা করা হচ্ছে। তবে পুলিশ প্রশাসন কিশোর গ্যাংদের অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে কঠোর অভিযানে নেমেছে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর