করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ময়মনসিংহ বিভাগে ক্রমেই বাড়ছে। কিছুদিন কম থাকলেও আবারো আক্রান্ত, মৃত্যু, ঝুঁকি, আতঙ্ক এই বিভাগে সবই বাড়ছে। সরকার বাইরে সকলকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও অধিকাংশ মানুষই মাস্ক পরছে না। করোনায় ২২শে আগস্ট পর্যন্ত এই বিভাগে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৮ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৫৭৩ জন। তন্মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে ৮২ জন। এ পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ৭৪ হাজার ৬১২টি নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহে ৭ জন এবং জামালপুরে ১ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং নেত্রকোনা ও শেরপুরে কেউ আক্রান্ত হয়নি বলে জানান ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. মো. শাহ আলম।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. মো. শাহ আলম আরো জানান, বিভাগের চার জেলার মাঝে ময়মনসিংহ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার অতিক্রম করেছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ময়মনসিংহ জেলায় ৪ হাজার ৫ জন, নেত্রকোনায় ৭৭৭, জামালপুরে ১ হাজার ৭১৪ ও শেরপুরে ৫১২ জন।
জেলাওয়ারি মৃতের সংখ্যা ময়মনসিংহে ৩৯ জন, নেত্রকোনায় ১০, জামালপুরে ২৩ জন ও শেরপুরে ১০ জন।
অকারণ ঘোরাঘুরি, শপিংসহ সবকিছু খুলে দেয়ার প্রেক্ষিতে অবাধ চলাচলের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ জানান। গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য চলছে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা বাইরে ঘোরাঘুরি করার প্রেক্ষিতে করোনার সংখ্যা দিন দিন ব্যাপক হারে বাড়ছে। দ্রুত আক্রান্তের লাগাম ধরে টানতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনগণকে বাধ্য করা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় পরিষদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় করোনা মনিটরিং সেলের সমন্বয়ক, বি.এম.এ ময়মনসিংহ জেলা শাখা ও বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এইচ. এ. গোলন্দাজ জানান, সরকার মাস্ক বাধ্যতামূলক করলেও এখনো অনেকে মাস্ক পরছে না। গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য চলছে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা বাইরে ঘোরাঘুরি করার প্রেক্ষিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন ব্যাপক হারে বাড়ছে। দ্রুত আক্রান্তের লাগাম ধরে টানতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনগণকে বাধ্য করা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।