× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৭৫ কোটি টাকার জালিয়াতি / জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ নভেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ভবন নির্মাণে ৭৫ কোটি টাকার কাজ জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত কথিত সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সহযোগী আরেকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সকালে এ তথ্য জানান দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন। তিনি বলেন, দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত রোববার বিকালে মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মো. গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীম ঢাকার জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সমবায় সম্পাদক ছিলেন। আরেক অভিযুক্ত মো. ফজলুল করিম চৌধুরী দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণের কাজ নেন জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানসহ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ একাডেমিক ভবনের (২য় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ) ২য় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের ২৮শে আগস্ট দরপত্র আহ্বান করে। প্রথম নিম্ন দরদাতা হিসেবে জি কে বিল্ডার্স ও দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ৭৫ কোটি ১ লাখ ২৯৫ টাকার কাজটির কার্যাদেশ পায়। ২০১৬ সালের ১৪ই নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্য সম্পাদন চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ অভিযোগটি অনুসন্ধান করে।
অনুসন্ধানে দুদক কর্মকর্তারা জানতে পারেন, চবি কর্তৃক আহ্বান করা দরপত্রের শর্ত পূরণ করার মতো নির্মাণ কাজের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাজটি বাগিয়ে নেন তারা।
প্রসঙ্গত, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়। শামীমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনে আরো দু’টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ পাচার ও অস্ত্র মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর