থাইল্যান্ডে রাজপরিবারের সম্পদের (ফরচুন) দেখাশোনা করে থাকে যে অফিস, তার সামনে বুধবার বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ওই অফিসের সামনে প্রায় ৬০০০ পুলিশ মোতায়েন করছে থাই কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নকে সম্পদের ওপর তার ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করতে হবে। মঙ্গলবার এর জবাবে পুলিশ বলেছে, রাজকীয় সম্পদ রক্ষা করে থাকে ক্রাউন প্রপার্টি ব্যুরো। তবে কোনো বিক্ষোভকারীকে এর ১৫০ মিটারের মধ্যে যেতে দেয়া হবে না। অন্যদিকে রাজতন্ত্রের অনুগতরা বলেছে, তারা রাজার মর্যাদা রক্ষার জন্য সেখানে প্রতিরক্ষা গড়ে তুলবে। এর ফলে কয়েক দশকের মধ্যে থাইল্যান্ডে এরকম পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে চ্যালেঞ্জ এসে দাঁড়াচ্ছে। ব্যাংকক পুলিশের উপপ্রধান পিয়া তাভিচাই বলেছেন, পক্ষ ও বিপক্ষ দুটি গ্রুপকেই আলাদা করে রাখা হবে।
তাদের আচরণ দেখে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। ওই সময় বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তখন তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। বিক্ষোভকারীদের দাবি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা একজন সাবেক সামরিক জান্তা। তিনি ক্ষমতা নিয়ে নতুন সংবিধান করেছেন, নিজের মতো করে। তাতে তিনি ও সেনাবাহিনী সুবিধা পাবে। এ জন্য তার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি রাজার ক্ষমতা খর্ব করারও আহ্বান জানিয়েছে তারা।