× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভোটব্যাংক রাজনীতির চক্করে পশ্চিমবঙ্গ

অনলাইন

ড. মাহফুজ পারভেজ
(৩ বছর আগে) নভেম্বর ২৫, ২০২০, বুধবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য ক্ষমতার নির্ধারক বিধান সভার নির্বাচন হবে আগামী বছরের প্রথমার্থে। নির্বাচনের ৫/৬ মাস আগেই রাজ্যে রাজনীতির আবহাওয়া উত্তপ্ত হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান করোনার মধ্যেও থেমে নেই ভোটের রাজনীতি।
তিন যুগের বাম শাসনকে হটিয়ে দুই দফা ক্ষমতায় আসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে বিরাট চ্যালেঞ্জ দিয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ডানপন্থি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ক্ষমতা দখলের লড়াই থেকে অনেক দূরে অবস্থান করলেও কংগ্রেস আর বামপন্থিরা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। হায়দারাবাদের দল মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা ‘মীম’ এবং ফুরফুরা দরবার শরীফের মাওলানা আব্বাস সিদ্দিকীও মুসলিম অধ্যুষিত নির্বাচনী আসনে লড়ার কথা জানিয়েছেন।
ধারণা করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভোট রাজ্যের মোট ভোটারের প্রায় ৩০%। বিধান সভার ২৯৮টি আসনের মধ্যে ১২০ থেকে ১২৫টি আসনে মুসলিম ভোটাররাই নির্বাচনে নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে চব্বিশ পরগণা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরে মুসলিম ভোট গুরুত্বপূর্ণ। এলাকাগুলো আবার ভৌগোলিকভাবে পাশের রাজ্য বিহারের সীমান্ত, যেখানে সদ্যসমাপ্ত ভোটে ভালো ফল করেছে ‘মীম’।
বাংলার এসব আসনের দিকে ‘মীম’-এর নজর রয়েছে।
‘মীম’ মাঠে নামায় শুরু হয়েছে ভোটব্যাংকের রাজনীতি। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর থেকেই মুসলিম ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। পরে সে ভোট চলে যায় বামদের বাক্সে। সবশেষে তৃণমূল একচেটিয়া মুসলিম ভোট পেয়ে আসছে। ফলে বলা হয়, মুসলিম ভোট যেদিকে, ক্ষমতা সেদিকে।
মুসলিমদের মতোই আদিবাসী সম্প্রদায়, দলিত সম্প্রদায়, পূর্ববঙ্গের রিফিউজি সম্প্রদায় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভোটব্যাংক রূপে পরিচিত। বিজেপি আদিবাসী ভোটব্যাংক কব্জা করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহ আদিবাসী বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ গ্রহণ করে তাদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন পরেই সেখানে গিয়ে সাফ বলেছেন, ‘অমিত শাহ ফাইভ স্টার হোটেলের খাবার আনিয়ে আদিবাসী বাড়িতে যে আহার করেছেন, তা নিছকই ভোটের রাজনীতি। আমরাই আদিবাসীদের প্রকৃত সুহৃদ।’
একই কা- ঘটেছে মুসলিম এলাকায়। ‘মীম’ বা ফুরফুরা শরীফের প্রার্থী ভোটে নামার খবরে তৃণমূলের পক্ষে ‘মীম’ নেতাদের দলে ভিড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। জনসংযোগ ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর আসনগুলোতে।
বিজেপি যথারীতি সংঘ পরিবার ও নিজস্ব শক্তিবলে হিন্দুত্বের পক্ষে ভোট চাইছে। বামপন্থিরা নির্ভর করছে ক্যাডারদের ভোটের শক্তিতে। কংগ্রেস তাদের কিছু পকেট এলাকা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
ফলে পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন আবর্তিত হচ্ছে ভোটব্যাংকের চক্করে, যাকে কেন্দ্র করে তীব্র হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, জাত-পাত ও হিংসার রাজনীতি। পুরো পরিস্থিতিই ধর্মনিরপেক্ষ উদার রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য ভয়াবহ অশনি সংকেত। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের যে সুশীল ইমেজ, তা ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচে বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর