ফ্রান্সের ব্রিট্যানি অঞ্চলের স্থানীয় পুলিশ প্রধান দানিয়েল কেদ্রাও বলেছেন, "একজনের মুখ ভেঙে ফেলার জন্য বেরিয়ে যাচ্ছি" বলে লিখিত বক্তব্য দিয়ে লকডাউন ভাঙার পর জনৈক ব্যক্তিকে পুলিশ জরিমানা করেছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ৩৯ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি শনিবার ভোরে একটি গাড়ীর পেছনে লুকিয়ে ছিলেন। পুলিশের টহল দল তাকে মাতাল অবস্থায় আবিষ্কার করে। পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তার কাছে ছুরিও পাওয়া যায়। পুলিশ তাকে বাইরে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলে যা ফ্রান্সে লকডাউন চলাকালীন সময়ে একটি আইনি বাধ্যবাধকতা।
ব্যাখ্যায় লোকটি লেখেঃ
"আমি একজনের মুখ ভাঙতে বাইরে বেরিয়েছি। এটাই আমার অজুহাত এবং এটা খুব ভাল অজুহাত।"
পুলিশ কর্মকর্তারা তখন তাকে জানান, এটি কোন বৈধ কারণ নয় এবং তাকে রাতের মধ্যেই আটক করা হবে।
পুলিশ এটাও জানায়, এক দিক থেকে তিনি অবশ্য আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে চেয়েছিলেন কারণ যখন তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তখন তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি তার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে ছিলেন।
ফরাসী লকডাউন বিধিনিষেধের আওতায় মানুষ প্রতিদিন ব্যায়াম করতে এক ঘন্টার জন্য বাইরে থাকতে পারবে যা তাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে নয়। লকডাউন ভাঙার জন্য ওই ব্যক্তিকে ১৬০ ডলার এবং মাতলামির জন্য ১৭৫ ডলার জরিমানা করা হয়। ছুরি রাখার বিষয়ে লোকটি জানায়, কাউকে তা দিয়ে আঘাত করা তার উদ্দেশ্য ছিল না।
ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে ২০ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।।