× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুমিল্লায় ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন হত্যার ১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার শিবনগর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকে গোলাম মহিউদ্দিন নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ১৫ দিনেও আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার প্রধান আসামি কেন্দ্রীয় মুজিবসেনা ঐক্যলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রভাবশালী আসামিরা গ্রেপ্তার এড়িয়ে উল্টো ওই ব্যবসায়ীর পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার নিহতের স্ত্রী ও তিন প্রতিবন্ধীসহ চার সন্তানের মা মাফিয়া বেগম চোখের পানি ফেলে স্বামী হত্যার বিচার দাবি করে সাংবাদিকদের নিকট এমন অভিযোগ করেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেঘনা উপজেলার শিবনগর গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী গোলাম মহিউদ্দিন ও একই বাড়ির লুৎফর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত ১২ই নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ ও মেম্বার আলফাজ উদ্দিনের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হয়। এদিন বৈঠক শেষে বিরোধপূর্ণ জমি পরিমাপ করার সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন গোলাম মহিউদ্দিনের উপর হামলা চালায় এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাফিয়া বেগম বাদী হয়ে লুৎফর রহমানসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৮-১৯ জনকে আসামি করে মেঘনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন হত্যার প্রতিবাদ ও ঘাতকদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ও হাটে-বাজারে পোস্টারিং করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহতের স্ত্রী মাফিয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আসামিরা চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে আমার স্বামীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা এলাকায় প্রভাবশালী ও মুজিবসেনা ঐক্যলীগের নেতা। ঘটনার ১৫ দিনেও প্রভাবশালী আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মামলাটি প্রত্যাহার না করলে বিভিন্ন মামলায় জড়িত করে আমাদের এলাকাছাড়া করবে বলে তারা হুমকি দিচ্ছে। তাই নিরুপায় হয়ে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে গত মঙ্গলবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তার কার্যালয়ে আবেদন দাখিল করেছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের চার সন্তানের মধ্যে তিনজনই প্রতিবন্ধী। তাদের চিকিৎসায় প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়, যা স্বামীর ওষুধের ব্যবসার আয় থেকে খরচ করা হতো। এখন সংসার চালানোর মতো পরিবারে কেউ নেই। তিনি তার স্বামী হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত মহিউদ্দিনের ভাতিজা স্কুলশিক্ষক মুক্তাদির উল্লাহ। মেঘনা থানার ওসি মো. আবদুল মজিদ জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। তবে বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি জানা নেই। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর