× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার

অপরাধী কোন্‌ দলের সেটা বিবেচনায় না নিয়ে তাকে অপরাধী হিসেবে দেখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, যে দলের হোক, যে কেউ হোক, অপরাধী অপরাধীই। কাজেই অপরাধী হিসেবে দেখে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সমাজটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং সেটাই আপনারা করবেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাহবাগস্থ বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১১৬, ১১৭ এবং ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এই নির্দেশনা দেন। সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশটাকে উন্নত করতে হলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযুক্ত কর্মচারী আমরা গড়ে তুলতে চাই। যেন মানুষ তার সেবাটা পায়। সেটাই আপনারা দেবেন। এটাই আপনাদের কাজ।
প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না বা তাদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণের উদ্ধৃতি দেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় এ গরিব কৃষক। আপনার মাইনে দেয় ঐ গরিব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ঐ টাকায়। আমি গাড়ি চড়ি ঐ টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক। শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শিখেছি, রিকশাওয়ালাকে আপনি বলে সম্বোধন করেছি। কারণ, আমাদের বাবা-মা সেটাই শিখিয়েছিলেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে এই সমাজের প্রতি। দেশের প্রতি। সে কথাটা মনে রাখতে হবে। তাছাড়া, কর্মক্ষেত্রে সকলে যেন ন্যায় বিচার পায়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ, আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা করা। সরকার প্রধান আরো বলেন, সমাজে যেসব উপসর্গ মাঝে মাঝে দেখা দেয়, যেমন- নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি এসবের বিরুদ্ধেও আপনাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে কারো মুখ চেয়ে নয়, যারাই অপরাধী, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন, এটাই আমার কথা। চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি শুরু হওয়া ৫ মাসব্যাপী এবারের কোর্স করোনা বিভ্রাটে পড়ে বিলম্বিত হয় এবং অনলাইন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। ১১৬ জন অংশগ্রহণকারীর সকলেই কৃতকার্য হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন মহিলা রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সনদপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এই করোনাকালীন অবস্থার মধ্যেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সাফল্য অর্জন করেছেন। কাজেই, আপনাদের এই অর্জিত জ্ঞান আপনারা দেশের কাজে অবশ্যই লাগাবেন। কেননা, দেশটাকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেটা মনে রাখতে হবে। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোর্স সম্পন্ন করতে পারায় শিক্ষার্থীরা অনন্য নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন একটি অস্বাভাবিক অবস্থায়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি আপনারা যেমন মেনে চলবেন, আপনার সহকর্মী এবং দেশবাসী যেন মেনে চলে এবং আপনার কর্মস্থলে যেন সকলে মেনে চলে এই বিষয়ে আপনাদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের জীবন এবং বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে, অনেককে আমরা হারিয়েছি। তাই, এটা যেন আর বিস্তার লাভ করতে না পারে সেজন্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপনারা চলবেন। কারণ, দ্বিতীয় পর্যায়ের যে ঢেউটা আসছে সেটা কেমন হবে আমরা জানি না। অনেক দেশ পুনরায় লকডাউনে চলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখনও সহনশীল অবস্থায় আছি। কিন্তু খুব সাবধানে চলতে হবে। ভ্যাকসিনের জন্য আমরা বুকিং দিয়ে রেখেছি যখনই শুরু হবে তখনই বাংলাদেশ আনতে পারবে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণে তিনি সরকারের সকল পর্যায়ে ইতিমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ভ্যাকসিন সংগ্রহ, রাখা এবং এর প্রয়োগ করার পর কি কি করতে হবে এ ব্যাপারে সবরকমের নির্দেশনা আমার দেয়া আছে। সেটা মেনেই আমাদের এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে। করোনার মধ্যেও সরকার গৃহীত প্রকল্পগুলো যেমন নিয়ম মতো এবং মানসম্পন্ন হয় সে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। তিনি নবীন কর্মকর্তাদের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করে বলেন, ‘আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষকে ভালোবেসে কাজ করবেন। এই মনোভাব নিয়েই আপনাদের কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করে সাফল্য অর্জন করুন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর