ট্রাম্পকে ‘পুতুল’ বলে মার্কিন মুলুকের রোষে পড়তে হয়েছিল ম্যারাডোনাকে। প্রেসিডেন্টকে অপমান করায় ভিসা দেওয়া হয়নি তাঁকে।
২০১৭ সালের ঘটনা। একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ম্যারাডোনার প্রাক্তন স্ত্রী ক্লডিয়া ভিলাফেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই ফ্লোরিডার মায়ামিতে আসার কথা ছিল দিয়েগোর। ভিসার আবেদন করেছিলেন। সাক্ষাৎকারের আগে আইনজীবী মাতিয়াস মরলা পইপই করে বারণ করেছিলেন, আমেরিকা নিয়ে একটি শব্দও নয়! শোনেননি ম্যারাডোনা। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইনজীবী বলেন, ‘‘দ্বিতীয় প্রশ্নেই ম্যারাডোনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে আপনার কী মতামত? উত্তরে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘ট্রাম্প হলেন চিরোলিটা (স্থানীয় ভাষায় যার অর্থ পুতুল বা বোকা)।
তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, এবার দিয়েগোর হয়ে আমায় মামলা লড়তে হবে।’’
যদিও আমেরিকার সঙ্গে ম্যারাডোনার বিরোধ বহু পুরনো। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে মাদক ব্যবহারের জন্য আমেরিকায় ম্যারাডোনাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৭ সালেই একটি রুশ টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের উদ্দেশে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘উনি পুরো কার্টুন চরিত্র। টিভি–তে ওনাকে দেখলেই চ্যানেল বদলে ফেলি।’
ভেনেজুয়েলার বিপ্লবী নেতা হুগো চাভেজের সমর্থক ছিলেন দিয়েগো। তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরসূরি মাদুরোকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন তিনি। মাদুরোর মতোই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রকাশ্য সমালোচক ছিলেন ম্যারাডোনা। ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমরা আমৃত্যু হুগো চাভেজের অনুসারী। নিকোলা মাদুরো নির্দেশ দিলে আমি সৈনিকের পোশাক পরে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার জন্য প্রস্তুত।’ আর সেই কারণেই আমেরিকায় বসবাসকারী লাতিন আমেরিকানদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন ম্যারাডোনা।
সূত্রঃ
আজকাল