× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাগেশ্বরীতে নদীভাঙনে শত পরিবার নিঃস্ব

বাংলারজমিন

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৮ নভেম্বর ২০২০, শনিবার

নদীটায় হামার সুখের সংসার ভাঙ্গি দেইলো বাহে। দুধকুমার নদীত ভিটাবাড়ি ভাঙ্গি যায়া একনা গরু আর একনা ছাগল ছাড়া আর কিছুই নাই। ছাওয়া পাওয়াক নিয়া বাপের ভিটাত কোনোমতে বাড়ি করি রাইত কাটপার নাক্‌ছি। সগাই খালি আসি দেখি যায়, কাইও কিছু দেয় না। খালি একদিন চেয়াম্যানের কাছ থাকি চাউল পাচি, তারপর থাকি কোনো কিছু পাই নাই। এভাবেই  তার কষ্টের কথা বলছিলেন চরাঞ্চলের মনছের আলীর স্ত্রী শাহিনুর বেগম।
নদী ভাঙনে ভিটেবাড়ি হারিয়ে এখন নিঃস্ব শাহিনুরের মতো আরো অনেকের পরিবার। চাপা কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে এসব পরিবারকে। তবুও তাদেরকে যেনো দেখার কেউ নাই।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাস, বামনডাঙ্গা, রায়গঞ্জ ও বেরুবাড়ী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে এমন করুণ চিত্র। সর্বনাশা দুধকুমার নদীর করাল গ্রাসে নিঃস্ব হয়েছে এমন শত শত পরিবার।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামের দিনমজুর মনছের আলী। একদিন কাজ থাকলেও পরের দিন কর্মহীন থাকতে হয় তাকে। রিকশা থাকলেও অসুস্থতাজনিত কারণে চালাতে পারেন না। স্ত্রী সন্তানদের পেটের খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। পরিবারের ভরণপোষণের জন্য রোজগার করাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেরুবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতলেব বলেন, এর আগে চাউল দিয়েছি। সামনে কোনো বরাদ্দ আসলে আবার দেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর