ইরানের শীর্ষ স্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকরিজাদেহকে হত্যায় যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা ইসরাইলে তৈরি বলে দাবি করেছে ইরানের ইংরেজি ভাষার প্রেস টিভি। সোমবার তারা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, ফাকরিজাদেহকে যেখানে সন্ত্রাসী হামলায় হত্যা করা হয়েছে সেখান থেকে ব্যবহৃত অস্ত্রের অংশবিশেষ সংগ্রহ করে তাতে ইসরাইলের লোগো এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সুনির্দিষ্ট কারখানার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইলি কর্মকর্তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওদিকে রোববার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস জানায়, রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত একটি মেশিনগান ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে ফাকরিজাদেহকে। অন্যদিকে আরবি ভাষার আল আলম টিভি রিপোর্ট করেছে যে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে। তবে ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীরা সোমবার রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, তারা তিনজন অস্ত্রধারীকে দেখতে পেয়েছেন। ইসরাইলের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী ইলি কোহেন স্থানীয় রেডিও ১০৩ এফএম’কে সোমবার বলেছেন, ওই হামলায় কে জড়িত তারা তা জানেন না।
উল্লেখ্য, ফাকরিজাদেহ ইরানে প্রকাশ্যে খুবই কম বেরুতেন। কিন্তু তিনিই ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রধান কারিগর বলে তার নাম উল্লেখ করেছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মোহসেন ফাকরিজাদেহকে তেহরানের কাছে একটি মহাসড়কে ঘেরাও করে তাতে হামলা চালানো হয়। তার গাড়িতে বুলেট ছোড়া হয়। এতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তার গাড়ি। এ হামলার জন্য ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে ইরান। একই সঙ্গে এর বদলা নেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে তারা। সোমবার তেহরানের উত্তরাঞ্চলে ফাকরিজাদেহর দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।
shiblik
৩০ নভেম্বর ২০২০, সোমবার, ৬:০৯Very tragic trend. One after another important person in a country is assassinated. If the killed persons were British or American politician or leader, what would have happened?