দেশের ক্রীড়াঙ্গনে হ্যান্ডবল দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির। বর্তমানে বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা। নারী ক্রিকেটে তারা খেলছে আগে থেকেই। ফুটবলেও তাই। এবার হকিতে আসছে আনসার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) রায়হান উদ্দিন ফকির। হকিতে অংশ নেয়ার বিষয়ে আনসারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের সংস্থার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম স্যারের নির্দেশনায় হকিতে শক্তিশালী দল গঠন করছি আমরা।’ পুরুষ ক্রিকেট ও হকি বাদে দেশের প্রায় সব ক্রীড়া আসরেই অংশ নিয়ে আসছে আনসার। এই সংস্থার একজন নারী কিংবা পুরুষ ক্রীড়াবিদ বেশ ক’টি ডিসিপ্লিনেই অংশ নেন- এমন রেকর্ডও রয়েছে।
এবার হকিতে পুরুষ ও নারী দু’বিভাগেই খেলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সার্ভিসেস দলটি। এ বিষয়ে হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে কথাও হয়েছে বলে জানালেন রায়হান ফকির। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই কথা বলেছি হকির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইউসুফের সঙ্গে। হকির কর্মকর্তাগণ আমাদের এমন সিদ্ধান্তের সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাই আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিভা অন্বেষণের কাজ শুরু করবো। ভালমানের পুরুষ ও নারী খেলোয়াড় বাছাই করে দু’টি শক্তিশালী দল গঠন করবো। এছাড়া বেশ ক’জন হকি কোচের সঙ্গেও কথা হয়েছে আমাদের। লক্ষ্য থাকবে হকির সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার লীগে খেলা।’ রায়হান ফকির আরো জানান, আপাতত বিশেষ ভাতা ও চাকরি দিয়ে হকি খেলোয়াড়দের আনসারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, আমরা শুরুতে এদের ভাতার মাধ্যমে আনসারে নেবো। এরপর সরকারি নীতিমালাসহ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে ক্রীড়াবিদদের।’ হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘হকির সভাপতি ও বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত সাহেবের নির্দেশনায় আমরা আনসারের মহাপরিচালকের কাছে দল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কারণ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় তাদের খেলোয়াড় তৈরির কার্যক্রম রয়েছে। দল গঠনের পর আপাতত তারা টুর্নামেন্টগুলোতে অংশ নিতে পারবে। পরবর্তীতে ফেডারেশনের বাইলজ পরিবর্ধনের মাধ্যমে তাদের লীগে খেলার অনুমোদন দেয়া হবে।’ বর্তমানে হকিতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশ- চারটি সার্ভিসেস দল নিয়মিত খেলছে।