× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গ্লোবাল টাইমসের খবর / বাংলাদেশ, ভারতের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত ইয়ারলুং নদীতে পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করবে চীন

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
১ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হয়েছে চীনের এমন একটি নদী ইয়ারলুং জাংবো রিভার। এই নদীতে চীন এখন বড় রকমের একটি পানিবিদ্যুৎ বিষয়ক প্রকল্প নির্মাণ করবে। এ নদীকে এশিয়ায় পানির একটি বড় উৎস হিসেবে দেখা হয়। ঐতিহাসিক এই নদীতে এই প্রকল্প নির্মাণ করা হবে তিব্বতে। এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির প্রধান বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পানির উৎসকে সংরক্ষণ করা যাবে এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। এ খবর দিয়েছে চীনের অনলাইন গ্লোবাল টাইমস।
পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না বা পাওয়ার চায়নার চেয়ারম্যান ইয়ান ঝিয়োং বলেছেন, ইয়ারলুং জাংবো নদীর ভাটিতে চীন একটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। দেশের ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০২১-২৫) আওতায় এর বাস্তবায়ন প্রস্তাব করা হয়েছে।
সেন্ট্রাল কমিটি অব দ্য কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না দীর্ঘ মেয়াদি এই লক্ষ্য হাতে নিয়েছে। এ নিয়ে রোববার সেন্ট্রাল কমিটি অব দ্য কমিউনিস্ট ইয়ুথ লীগ অব চায়নার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটে। ইয়ান ঝিয়োং বলেন, এটা হবে চীনের পানিবিদ্যুৎ শিল্পে একটি ঐতিহাসিক প্রকল্প। চায়না সোসাইটি ফর হাইড্রোপাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৪০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়ারলুং জাংবো নদীর মূল শাখা প্রবাহিত হয়েছে দক্ষিণ চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ভেতর দিয়ে। এখানেই এ নদীতে সবচেয়ে বেশি পানি থাকে। প্রতি ঘণ্টায় সেখান দিয়ে ৮ কোটি কিলোওয়াট গতিতে পানি প্রবাহিত হয়। অন্যদিকে এই নদীর ৫০ কিলোমিটার অংশ ইয়ারলুং জাংবো গ্রান্ড ক্যানিয়নে এই গতি ঘণ্টায় ৭ কোটি কিলোওয়াট। এই গতি ২০০০ মিটার কমিয়ে আনা হবে, যা কিনা তিনটি থ্রি গর্জেজ পাওয়ার স্টেশনের ক্ষমতার চেয়েও বেশি। তিব্বতে এই নদীর উৎস ঘণ্টায় ২০ কোটি কিলোওয়াট। চীনে মোট যে পরিমাণ পানি দেয় এই নদী এই পরিমাণ তার শতকরা ৩০ ভাগের সমান।
ইয়ান ঝিয়োং বলেছেন, ইয়ারলুং জাংবো নদীর ভাটিতে এই পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প হবে একটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের চেয়েও বেশি কিছু। এর ফলে পরিবেশ রক্ষা পাবে। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। উন্নত হবে বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ। এ ছাড়া বাড়বে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। তার মতে, ইয়ারলুং জাংবো নদীর ভাটিতে ৬ কোটি কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নদীতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে ঘণ্টায় সেখান থেকে বছরে ৩০,০০০ কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। ২০৩০ সালের আগেই কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার জন্য চীনের যে প্রতিশ্রুতি এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন বন্ধের যে প্রতিশ্রুতি তা বাস্তবায়ন হবে। চায়না পাওয়ারের এই চেয়ারম্যান আরো বলেছেন, এই প্রকল্পের ফলে শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নিশ্চিত হবে এমন নয়। একই সঙ্গে পানির উৎস হবে এটা। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা করবে। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা মসৃণ করতে সহায়ক হবে এই প্রকল্প। এ প্রকল্প থেকে বছরে আয় করা যাবে ২০০০ কোটি ইয়েন বা ৩০০ কোটি ডলার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর