দেশে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে। প্রায় তিন মাস পর গত ২৪ ঘণ্টায়  করোনা রোগী সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫২৫ জন। সর্বশেষ গত ২রা সেপ্টেম্বর দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হন ২ হাজার ৫৮২ জন। এরপর এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত একদিনে আড়াই হাজার ছাড়ায়নি। এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২ জন শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ হাজার ৬৪৪ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  
 এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ৫৬৫টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৩৭২টি। এখন পর্যন্ত ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৭০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭১১ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ ঘণ্টায় ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ৫ হাজার ৯৯ জন এবং নারী ১ হাজার ৫৪৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনই হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৬০ বছরের বেশি ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং শূন্য থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১জন, রাজশাহীতে ৪ জন,  খুলনায় ২ জন, সিলেটে ১ জন, ময়মনসিংহে ১ জন এবং রংপুরে ১ জন।
২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮ জন, ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ১৬১ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬২৯ জন। ছাড়া পেয়েছেন ৫ লাখ ৩৯ হাজার ১০৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ লাখ ৫২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ২২৯ জন। ছাড়া পেয়েছেন ১৯৬ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯১ হাজার ২৪৫ জন। ছাড়া পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৩৭৯ জন।  এখন আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৮৬৬ জন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনার প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ই মার্চ এবং ভাইরাসটিতে প্রথম রোগী মারা যায় ১৮ই মার্চে