× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীনের সামরিক প্রযুক্তি রপ্তানি নিষিদ্ধ / চীন-যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিবিষয়ক শীতল যুদ্ধ!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) ডিসেম্বর ১, ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ কী তবে আরো তীব্র হয়ে উঠল! এমন প্রশ্ন সামনে আসছে চীনের নতুন একটি আইনকে সামনে রেখে। তারা তাদের ‘নিয়ন্ত্রিত আইটেম’ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এই আইনে। প্রাথমিকভাবে এতে চীনের সামরিক প্রযুক্তি ও অন্যান্য সরঞ্জাম রপ্তানিকে টার্গেট করা হয়েছে। চীনের যুক্তি এতে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা একে প্রযুক্তিবিষয়ক শীতল যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল। ধারনা করা হয়, চীনের এই রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তারই প্রতিশোধ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে চীনের প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন অ্যাপ, যেমন টিকটক, হুয়াওয়ে এবং টেনসেন্টের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালায় ওয়াশিংটন। তাদের যুক্তি হলো এসব প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সমস্ত গোপন ডকুমেন্ট চলে যাচ্ছে চীনের হাতে। এ যুক্তিতে চীনের ওইসব প্রযুক্তিকে নিষিদ্ধ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ঠিক এর বদলা নিতে চীন নতুন যে আইন পাস করেছে তা কার্যকর হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে। বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ আরো তীব্র হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু এ বছর সেই লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।  

প্রযুক্তিবিষয়ক শীতল যুদ্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নির্বাহী এক আদেশে চীনে তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক সরঞ্জাম নিষিদ্ধ করেছে। তার দাবি, এর মধ্য দিয়ে চীন সরকারের সঙ্গে ব্যবহারকারীর ডাটা শেয়ার করা হয়। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর অ্যালেক্স ক্যাপ্রি বলেন, ওদিকে চীন যে নতুন রপ্তানি বিধিনিষেধমুলক আইন করেছে তা এই প্রযুক্তিবিষয়ক যুদ্ধকে আরো উস্কে দেবে। এটা হলো চীন যে সামনে অগ্রসর হচ্ছে সে বিষয়কে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। বিবিসির এশিয়া বিজনেস রিপোর্টকে ক্যাপ্রি আরো বলেছেন, এক্ষেত্রে আমি মজার একটি বিষয় লক্ষ্য করছি। তা হলো, চীন এবার তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অ্যালগোরিদমকে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের অধীনে এনেছে। যুক্তরাষ্ট্র টিকটক বন্ধ করেছে। তার প্রেক্ষাপটে এ ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। তারা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  শেয়ার করতে চায় না। ক্যাপ্রি আরো বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে যে বাণিজ্যযুদ্ধ তা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের সময়েও একই অবস্থায় থেকে যেতে পারে। আসলে আমরা চীনের সঙ্গে একটি শীতলযুদ্ধে আছি। এটা হলো প্রযুক্তি বিষয়ক শীতলযুদ্ধ।

নতুন আইনে কি আছে
নতুন এই আইনটির নাম এক্সপোর্ট কন্ট্রোল ল’। এতে বেশ কিছু ক্যাটেগরির সরঞ্জাম ‘নিয়ন্ত্রণমূলক’ আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক সরঞ্জাম, সামরিক সরঞ্জাম, ‘ডুয়েল ইউজ’ আইটেম। ডুয়েল ইউজ আইটেম বলতে ওইসব পণ্যকে বোঝানো হয়, যা বেসামরিক এবং সামরিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া চীনের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত এমন সব সরঞ্জামকে এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এই আইনের অধীনে রপ্তানিকারকদেরকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের তালিকায় আছে এমন কোনো পণ্য রপ্তানি করতে কর্তৃপক্ষের কাছে লাইসেন্স আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রিত আইটেমের সঙ্গে সম্পর্কিত ডাটাও এই আইনের আওতায়। কিন্তু কেউ যদি আইন লঙ্ঘন করেন তাহলে তাকে প্রস্তাবিত স্থানান্তরিত অর্ডারেরর দশ গুণের বেশি জরিমানা গুণতে হবে। এই পরিমাণ ৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর