× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিরাজগঞ্জের মাঠে মাঠে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে ব্রি-৩৪ ধান

বাংলারজমিন

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা
২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার

শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের মাঠে মাঠে এখন দোল খাচ্ছে সুগন্ধি ধান হিসেবে খ্যাত ব্রি-৩৪ জাতের ধান। চারদিকে সুবাস ছড়াচ্ছে অন্যদিকে রঙিন হয়ে উঠছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। এবার এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফোটাবে জামাই সোহাগা এই সুগন্ধি ধান। চলতি মৌসুমে সুগন্ধি ধানের চাষাবাদ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জাতীয় ধানের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে ও পোকার আক্রমণ কম থাকায় চলতি মৌসুমে ক্ষেতে ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩৪ জাতের ধান চাহিদা থাকায় বাজারে দামও ভালো। আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলেও ৩৪ জাতের ধান কৃষকের ঘরে উঠতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
সময় লাগলেও সুগন্ধি ধানেই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। উপজেলা ধামাইনগর ইউনিয়নের জামতৈল গ্রামের কৃষক আসাদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরে এ অঞ্চলে অন্যান্য আমন ধান চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর পোকার আক্রমণের কারণে ঘরে ধান তুলতে পারছে না অনেকেই।
তবে যে সমস্ত কৃষক জিরা ধান কেটে ৩৪ ধান আবাদ করেছেন তারা বেশ লাভবান হতে যাচ্ছেন। উপজেলার লবণকোটা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর ৫ বিঘা জমিতে ব্রি-৩৪ জাতের সুগন্ধি ধান আবাদ করেছিলেন। ধানের দাম বেশি পাওয়ায় আমি এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর আরো ভালো ধান হয়েছে। ফলনও বেশি হবে। মোটা ধানের তুলনায় ব্রি-৩৪ জাতের ধানের দাম বেশি পাওয়ায় এবং বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় অনেকেই এবার মোটা ধানের পাশাপাশি এই ধান চাষ করেছেন। মোটা ধানে পোকার আক্রমণ হলেও ৩৪ ধানের ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের চান্দেরপাইকড়া গ্রামের রাকিব হাসান বলেন, ‘বীজ তলা থেকে শুরু করে ধানকাটা পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। এবার আশা করছি ধানের ভালো ফলন পাওয়া যাবে, বিঘা প্রতি প্রায় ১৩ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত। এতে বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতি মণ বিক্রি হবে দুই হাজার টাকার উপরে। হিসাব অনুযায়ী বিঘা প্রতি লাভ হবে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। তিনি বলেন, নতুন ধানের গন্ধে ভরে উঠবে মন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ৩৪ জাতের ধানের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ কারণে  ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা এমনটাই আশা করছেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হানিফ জানান, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৯টি উপজেলায় ২ হাজার ৯১ হেক্টর জমিতে ব্রি-৩৪ ধান ও ১৬৭ হেক্টর জমিতে কালোজিরা ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে রায়গঞ্জ উপজেলায়। ফলন ভালো হওয়ার কথা বলেন উপ-পরিচালক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর