× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গোপালপুরে পাকা সড়ক নদীর পেটে যান চলাচল বন্ধ

বাংলারজমিন

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২ ডিসেম্বর ২০২০, বুধবার

পাউবোর খনন কাজের দরুন এলজিইডির পাকা সড়ক টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বৈরান নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। এ দুই সংস্থার কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় রাষ্ট্রীয় অর্থের যেমন অপচয় ঘটছে, তেমনি সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এমন অভিযোগ করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইল পাউবো উত্তর টাঙ্গাইলের বৈরান নদী খনন করছে। প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন ধাপে ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দী থেকে গোপালপুর উপজেলার হাটবৈরান পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার নদীর খনন শেষ করে গত জুনে। চলতি অর্থবছরে ভাটিতে আরো ১০ কিলোমিটার খনন শুরু হচ্ছে দ্রুত। গত ২৬শে আগস্ট পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আজাদুর রহমান মল্লিক নদীর দুই পাড়ে বাঁধ-কাম ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওইদিন পাউবো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মিডিয়াকে জানায়, নাব্য পুনরুদ্ধার, পাড় দখলমুক্তকরণ এবং নদীদূষণ বন্ধের জন্য বৈরান নদী খনন হচ্ছে। উভয় পাড়ে জুতসই বাঁধ থাকায় নদীভাঙনের সমস্যা দেখা দেবে না।
বন্দহাদিরা গ্রামের ব্যবসায়ী আজাহার আলী অভিযোগ করেছেন, পাউবোর ঠিকাদার গোয়ালবাড়ী ঘাট ব্রিজের উত্তরে এক প্রভাবশালীর জবরদখল করা জমি রক্ষার জন্য ব্যক্তি স্বার্থে পূর্ব দিকে ধনুকের মতো বাঁকা করে নদী খনন সম্পন্ন করা হয়েছে। গোপালপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং হাদিরা গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম ফারুখ জানান, অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে সড়কের একটি বিশাল অংশবিশেষ নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে এলাকাবাসীর নিদারুণ ভোগান্তি হচ্ছে। এলজিইডির প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, খননকাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারের খামখেয়ালির দরুন এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি নগদাশিমলা-হাদিরাবাজার রাস্তা সংস্কারে হাত দিয়েছে। কিন্তু বন্দহাদিরা এলাকায় নদীভাঙনের দরুন সড়ক সংস্কারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তিনি নদীভাঙন রোধের  দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বহন করার কথা জানান।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝড় গেলে আম পাওয়া যায় না। নদীখনন এনলাইনমেন অনুযায়ী না হয়ে থাকলে এলজিইডি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের জানাতে পারত। কিন্তু তারা সেটা জানায়নি। এখন এলজিইডিকেই রিটেইনিং ওয়াল করে নদীর ঐ স্থানের ভাঙন রোধ করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর