ছয়টি দলকে বাইরে রেখে গতকাল শুরু হয়েছে প্রিমিয়ার বাস্কেটবল লীগ। লীগ উদ্বোধনের দিনে একাট্টা হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ওই ছয় ক্লাব। প্রিমিয়ার লীগ হওয়ার কথা ছিল ১০টি দল নিয়ে। কিন্তু ছয়টি দল করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে খেলার ঝুঁকি নিতে চায়নি। তারা চেয়েছিল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে লীগ খেলতে। কিন্তু বাস্কেটবল ফেডারেশন লীগ আয়োজনে অনড়। ওই ছয় ক্লাবকে বাইরে রেখেই তারা আয়োজন করেছে লীগ। যেখানে খেলছে প্রিমিয়ার লীগের বাকি চার ক্লাব ও সপ্তাহ খানেক আগে প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ারে নাম লেখানো দু’টি ক্লাব।
নামকাওয়াস্তে এমন লীগ আয়োজনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দ্য গ্রেগোরিয়াস, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস, দ্য গ্রেগস, শাওনস ক্লাব, ইগলস ক্লাব ও ফ্লেইম বয়েজ।
করোনার মধ্যে লীগ আয়োজনের প্রতিবাদে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে করে তারা। ছয় ক্লাবের পক্ষে কথা বলেন ঈগলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকলাস হোসেন, দ্য গ্রেগোরিয়াসের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক খন্দকার তানভীর, শাওনস ক্লাবের কর্মকর্তা মাসুদ আখতার এবং ফ্লেইম বয়েজের কর্মকর্তা প্রান্ত। সৈয়দ আকলাস হোসেন বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ উদযাপন করতে পারা বাঙালী জাতির জন্য এক পরম সৌভাগ্য। বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন আজ (গতকাল) থেকে ছয়টি দল নিয়ে জাতির জনকের নামে আয়োজন করছে প্রিমিয়ার বাস্কেটবল লীগ। যেখানে আমাদের খেলার কথা ছিল। অথচ সেখানে না থেকে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি যৌক্তিক কিছু কারণে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরে করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। প্রতিরোধের লক্ষ্যে এখন থেকে যথাযথ প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনাও দিয়েছেন। বাস্কেটবল খেলার অধিকাংশ খেলোয়াড় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে প্রিমিয়ার ডিভিশনের ৬টি দল ফেব্রুয়ারি-মার্চে এ লীগ আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করেছিল। ফেডারেশন সেটা মানেনি। তারা প্রথম বিভাগ থেকে মাত্রই উঠে আসা দু’দলকে নিয়ে লীগ আয়োজন করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে আমরা এই লীগে অংশ নিচ্ছি না। কিন্তু আপনারা জেনে থাকবেন বাস্কেটবলে এই ক্লাব ছয়টির অবদান অনেক। দীর্ঘদিন ধরে আমরা দল গঠন করি বলেই প্রায় শতাধিক খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পায়। এবার তারা পাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, লীগের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আমরা অতীতে বিদেশ থেকেও ভালমানের খেলোয়াড় নিয়ে এসেছি। অথচ ফেডারেশন আমাদের কথা না রেখে শতাধিক খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।’ করোনাকালে না খেললেও প্রিমিয়ার লীগ থেকে প্রথম বিভাগ লীগে নামিয়ে না দেয়ার আশ্বাস ক্লাবগুলোকে দিয়েছিল ফেডারেশন। কিন্তু গতকাল থেকে শুরু হওয়া লীগের বাইলজে যুক্ত করা হয়েছে এই শাস্তির বিধান।