হঠাৎ করেই গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে অনুশীলনে আসেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাকে দেখা যায় একাডেমি মাঠে বল হাতে। কিন্তু সেখানে তখন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলা দুই দল বরিশাল ও চট্টগ্রাম অনুশীলন করছিল। দুটি দলই আছে বিসিবি’র জৈবসুরক্ষা বলয়ে। করোনাসুরক্ষা নিশ্চিত করতে এখানে বাইরের করো আসার অনুমতি নেই। কিন্তু জানা গেছে ভুল করেই সেখানে চলে আসেন দেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক। যদিও তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে এসেছেন বলেই জানানো হয় বিসিবি’র তরফ থেকে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী বলেন, ‘ইনি করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন ব্যক্তিগতভাবে।
আমাদের এখানে করাননি। তার অনুশীলন করার কথা ছিল ইনডোরের মাঠে। ইনি সেটা বুঝতে পারেননি। যখন বুঝতে পেরেছেন তার জন্য অন্য জায়গা তৈরি করা হয়েছে, তখন স্যরি বলে বেরিয়ে গেছেন।’ ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের ওয়ানডে নেতৃত্বে ইতি টেনেছেন মাশরাফি। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি। করোনা মহামারির সময়টা মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে বেড়িয়েছেন। নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন বাসায় ছিলেন। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে মাঠে ক্রিকেট ফিরলেও মাশরফি ছিলেন অন্তরালে। গুঞ্জন ছিল তিনি খেলবেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। কিন্তু ইনজুরির কারণে এখনো চলমান এই আসরে খেলার সুযোগ হয়নি তার। তবে মাঠে ফেরার আগে ওজন কমাতে মরিয়া মাশরাফি। এরই মধ্যে ১০ কেজি ওজন কামিয়েছেন। আরো কমাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি’র ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘আসলে মাশরাফি তার মতো করে অনুশীলন করেছে। এখন সে ওজন কমিয়ে একটা অবস্থায় আসতে চায়। এ ব্যাপারে আমি সাহায্য করছি।
ম্যাচ ফিটনেসের ব্যাপারে বলার মত সময় আসেনি। মাশরাফি এমনিতেই বল করেছে। ফুল রান-আপে চার ওভার বল করেছে। যেভাবে অনুশীলন করছে এভাবে অবশ্যই সে ফিট হয়ে ফিরতে পারবে। টেকনিক নিয়ে তো তার তেমন সমস্যা নেই, সমস্যাটা ফিটনেসে। ফিটনেসের ব্যাপারে কাজ করলে সে ফিট হয়ে উঠবে। এটা আসলে বলা কঠিন। এখনো সে ফিজিক্যাল কোনো টেস্ট দেয়নি। কোভিড কাটিয়ে এসেছে তাই তার ব্যাপারে বলাটা কঠিন।’