সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসেই হয়েছে। এ থেকে এ তথ্যের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, চীনে প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পূর্বে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। সোমবার ইউএস সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (সিডিসি) কর্তৃক প্রকাশিত এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে আমেরিকান রেডক্রস যুক্তরাষ্ট্রের ৯ট রাজ্য থেকে ১৩ই ডিসেম্বর থেকে ১৭ই জানুয়াপরি পর্যন্ত ৭৩৮৯ জন মানুষের দেহ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত নমুনা তারা পাঠিয়ে দেয় ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনে (সিডিসি)। সেখানে পরীক্ষার পর সংগৃহীত নমুনা থেকে ১০৬ জনকে করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়। এ খবর দিয়েছে ব্লুমবার্গ।
এই গবেষণা প্রতিবেদনের অনুসন্ধানে এ বিষয়টি সামনে আসে যে, সার্স-কোভিড-২ সংক্রমণটির উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়ে থাকতে পারে। যা আগে স্বীকার করা হয়নি।
চীনের উহান শহরে ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রথম এক রহস্যময় রোগ ধরা পড়ে। পরে এর নাম দেয়া হয় কোভিড-১৯। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যা চীন সহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। আর ১৯ শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম একজনের দেহে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।
সিডিসির গবেষকদের পরিচালিত এই গবেষণা ও নথিপত্র এ ধারনাকে শক্তিশালী করে যে, করোনাভাইরাস সকলের অগোচরে বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে মহামারিটির উৎস চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে পুনরায় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তবে চীনের বাইরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব থাকতে পারে বা করোনার উৎপত্তি নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করা এটাই প্রথম গবেষণা নয়। এর আগেও আরো কয়েকটা গবেষক দল করোনার উৎপত্তি বিষয়েও তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। যাতে উঠে আসে চীন ছাড়াও আরো অনেক দেশেই ভাইরাসটির লক্ষণ নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছে।
Kazi
৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৩:১৩People of whole world believe without doubt it was made in lab in China, escaped during the experiment.