× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংকট নিরসনের দ্বারপ্রান্তে কাতার ও সৌদি আরব

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) ডিসেম্বর ৩, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ২:১৩ পূর্বাহ্ন

তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি প্রাথমিক চুক্তির দ্বারপ্রান্তে কাতার ও সৌদি আরব। ‘সন্ত্রাসে সমর্থন’ দেয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশরসহ বেশ কিছু দেশ। এর ফলে কার্যত একঘরে হয়ে পড়ে কাতার। কিন্তু কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাই জারেড কুশনার সৌদি আরব ও কাতার সফর করেন। তার এই সফরের উদ্দেশ্যই ছিল উপসাগরীয় অঞ্চলে, বিশেষত কাতারের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে। এরপরই কাতার ও সৌদি আরব একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশসীমা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কাতারের জন্য। কিন্তু এবার ওইসব দেশের আকাশসীমা কাতারের বিমান চলাচলের জন্য উঠিয়ে নেয়াটাই ছিল আলোচনার মূলে।  ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে।
বাকি যে কয়েকদিন তিনি ক্ষমতায় আছেন, তার মধ্যে উপদেষ্টা জারেড কুশনারকে উপসাগরীয় সংকট নিরসনে শেষ চেষ্টার অংশ হিসেবে এই অঞ্চল সফর পাঠান। উল্লেখ ট্রাম্প প্রশাসন জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়ার আগে এ সংকট সমাধান করতে চাইছে। এরই ফলশ্রুতিতে  জারেড কুশনার কাতার ও সৌদির আরবের সঙ্গে পৃথক পৃথক আলোচনা করেছেন। এ সপ্তাহের প্রথমদিকে কুশনার সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে রিয়াদে এবং বুধবার দোহা’তে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কুশনার এরই মধ্যে কাতার ত্যাগ করেছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্লুমবার্গ জানায়, আসন্ন এ চুক্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশরকে রাখা হবে না। কারণ ২০১৭ সালে জুনে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশগুলো সৌদি আরবকে সঙ্গে নিয়ে কাতারের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার অভিযোগ এনে দেশগুলো কাতারের সাথে স্থল, সমুদ্র ও বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
তবে দোহা বরাবরের মতো এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এবং দেশগুলোর মধ্যে পরস্পর সংলাপের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিল। এ অবরোধ ওঠানোর ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেশগুলো কাতারকে ১৩টি বিষয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিল। যার মধ্যে আল জাজিরা মিড়িয়া নেটওয়ার্ক বন্ধ করার বিষয়টিও ছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর