× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বগুড়ার শেরপুরে কৃষলীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, আহত ১০

বাংলারজমিন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
৪ ডিসেম্বর ২০২০, শুক্রবার

বগুড়ার শেরপুরে কৃষকলীগের সম্মেলনে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে।  ওই ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর ৫ জনকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যারাতে শেরপুর উপজেলার ১নং কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আলতাদিঘী বোর্ডের হাট এলাকায় কুসুম্বী ইউনিয়ন কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৩০শে নভেম্বর বিকালে দু’পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ১নং কুসুন্বী ইউনিয়নের খিকিন্দা গ্রামের বাসিন্দা কৃষকলীগ নেতা জামিল উদ্দিন, তার বড় ভাই রেজাউল কমির, ছেলে মো. শিমুল আহম্মেদ, মো. রাব্বী, মো. আজিজুল হক। তারা সকলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যান। শেরপুর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা লিটন ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। কুসুম্বী ইউনিয়ন আওয়ামী কৃষক লীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রায় চার বছর পর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন- দলের বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি আলমগীর বাদশা। বিশেষ অতিথি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল হক মুঞ্জু।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত হওয়ার পর সন্ধ্যার পর কাউন্সিলরদের নিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশনে কৃষকলীগের শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি এসএম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। এরপর প্রথমেই সভাপতি পদে প্রার্থী জামিল উদ্দীন ও আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে বিরোধ মতবিরোধে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে তাদের দু’জনকে নিয়ে বগুড়া জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ সমঝোতায় বসে। এরমধ্যে রাজ্জাকের কর্মী-সমর্থকরা জামিল উদ্দীনের সমর্থকদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর মুহূর্তের মধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে কাউন্সিল স্থগিত করতে বাধ্য হন তারা। এ সময় জেলা ও উপজেলার নেতারা সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করেন। এদিকে হট্টগোল চলাকালে সম্মেলনের মঞ্চ ও বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ওই ঘটনায় উভয় পক্ষ শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর