প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে করোনার টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুপারিশ পাঠাবে সংসদীয় কমিটি। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া যায় কি না, সে বিষয়ে সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে সুপারিশ করা হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, তার তিন কোটি ডোজ কিনতে ইতিমধ্যে চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে, যা আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশের হাতে আসতে পারে বলে সরকার আশা করছে। করোনাভাইরাসের কার্যকর টিকা পাওয়া গেলে, তা যাতে সারা বিশ্বের মানুষ পায়, সেটা নিশ্চিত করতে কয়েকমাস ধরে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি। সংসদীয় কমিটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রকৌশল সেল গঠনের জন্য সুপারিশ করেছে। এছাড়া আগামী ২৭শে ডিসেম্বরের মধ্যে সব বিদ্যালয়ে শতভাগ বই পৌঁছে দেয়ার সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মেহের আফরোজ, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, শিরীন আখতার, ফেরদৌসী ইসলাম, মো. মোশারফ হোসেন এবং কাজী মনিরুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।