× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থনৈতিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে চীন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) ডিসেম্বর ৫, ২০২০, শনিবার, ৭:৪৫ অপরাহ্ন

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক বছর পার হয়েছে সম্প্রতি। দেশে দেশে এখনো চলছে এর প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিন নতুন করে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে। এই করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বে বড় বড় অর্থনীতি সমৃদ্ধ দেশও আজ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে। তবে যে চীন দেশে এই ভাইরাসের উৎপত্তি বা প্রথম সংক্রমণ শুরু হয়েছিল সেই দেশ আজ কেমন তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহরে সর্বপ্রথম এই রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর অন্য দেশের মতো চীনের অর্থনৈতিক অবস্থাও অনেকটা খারাপ হয়ে পড়েছিল। তবে এক বছর পর এসে যদি আমরা চীনের দিকে তাকায় তাহলে দেখা যাবে সেই অর্থনৈতিক ধাক্কা আজ অনেকটা সামলে উঠেছে দেশটি।
চীনা অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হতে শুরু করেছে। এর ফলে দেশটির ছোট অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও আজ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কর্মহীন মানুষগুলো আবারো নতুন করে কর্মে যোগ দিচ্ছেন। তেমনি একজন রেস্তরাঁকর্মী প্যান রান পিং। তিনি তার সংহায়ের ছোট অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে এসেছেন এবং বারে আবারো কাজ করছেন। তবে চীনারা আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় প্যান রান পিং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিবিসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়ানোর ব্যাপারে অনেক দেশই চীনকে সরাসরি দায়ী করেছে। অনেক দেশে এ নিয়ে চীনাদের অনেক হয়রানির শিকারও হতে হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে প্যান আরো বলেন, আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিক আছি। বিদেশে চীনা নাগরিকদের প্রতি আর কোনো হয়রানি দেখতে চাই না বলে জানান ওই রেস্তরাঁকর্মী। করোনার প্রাদুর্ভাব চলাকালীন ওই সময়ে প্যান তার বড় বোনের সঙ্গে মিলে চামড়ার তৈরি ওয়ালেট ও হ্যান্ডব্যাগ বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেছে। প্যান এ সময় আরো বলেন, চীনাদের মনোভাব পাথরের মতো কঠিন। তাই কোনো ভাইরাসই তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তবে চীন থেকে এ ভাইরাসটি অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ায় দুঃখ প্রকাশ করে প্যান বলেন, ভুল আমাদেরও হয়েছে তার জন্য দেশের জনগণ দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু দেশের কোনো নেতা বা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন না বলেও মনে করেন তিনি।
চীনে প্রথম করোনা সংক্রমণের শুরুতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দেশের তুলনায় বেশ কঠিনভাবে তারা এই ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। দেশের কিছু অংশে কঠোরভাবে লকডাউন পালন এবং গণহারে করোনা পরীক্ষা করায় চীন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর মাইকেল পেটিস এ বিষয়ে বলেন, চীন খুব দ্রুত ও সুন্দরভাবে এই অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রে এই অগ্রগতি আনা এখনই সম্ভব নয়। করোনাভাইসের ফলে সৃষ্ট এই সংকট পুরোপুরিভাবে কাটিয়ে উঠতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর