ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না এনামুল হক বিজয়। প্রথম চার ম্যাচেই ব্যর্থ। গতকাল পঞ্চম ম্যাচে বিজয়ের জায়গায় জেমকন খুলনা সুযোগ দেয় জাকির হাসানকে। ২২ বছর বয়সী তরুণ এই ব্যাটসম্যান সুযোগ পেয়েই হাঁকালেন ফিফটি। তার নৈপুণ্যে খুলনা পায় ১৭৩ রানের পুঁজি। আর ম্যাচটি তারা জিতে নেয় ৪৮ রানে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ১ বল বাকি রেখে অলআউট হয় তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশাল। আসরে পাঁচ ম্যাচে এটি খুলনার তৃতীয় জয়।
৬ পয়েন্টের সুবাদে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মাহমুদুল্লাহ-সাকিবের দল। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের সংগ্রহ মাত্র ২ পয়েন্ট।
গতকাল শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ফরচুন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। খুলনার সংগ্রহ পৌঁছে ১৭৩/৬-এ। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় তামিমের দল। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে শেষ ৬ উইকেট খোয়ায় দলটি। অথচ বরিশালের শুরুটা ছিল দারুণ। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৭ রান। কিন্তু শুভাগত হোমের করা অষ্টম ওভারে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তামিম ইকবাল। পারভেজ ২৬ বলে ১৯ এবং তামিম ২১ বলে করেন ৩২ রান। উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি আফিফ হোসেনও (৩)। ইরফান শুক্কুর ২০ বলে ১৬ রানে আউট হন। তৌহিদ হৃদয়ের ২৭ বলে ৩৩ রান যথেষ্ট ছিল না। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ফরচুন বরিশালের ছয় ব্যাটসম্যান। দলীয় ১২১ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১০)। এরপর উইকেট খোয়ান হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (১), তাসকিন আহমেদ (০), তানভীর ইসলাম (০) ও কামরুল ইসলাম রাব্বী (১)।
খুলনার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, শহীদুল ইসলাম, শুভাগত হোম। ৪ ওভারে ২২ রানে সাকিবের শিকার ১ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থ সাকিব। ১০ বলে ১৪ রানে আউট হন। অধিনায়ক মাহমদুল্লাহও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ১৪ বলে করেছেন ২৪ রান। ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান। যদিও বল খেলেছেন ৩৪টি। উইকেটরক্ষক জাকির হাসান ছাপিয়ে গেলেন সিনিয়রদের। ৪২ বলে উপহার দিয়েছেন ৬৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। যাতে ছিল ১০টি বাউন্ডারির মার। ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক অভিষেকটা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়েই। ২০১৮’র ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পান জাকির। ওই ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে ৯ বলে করেন ১০ রান। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ৩৭ ম্যাচে ২ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন জাকির। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫২ রানের। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার কামরুল ইসলাম রাব্বীর। তাসকিন আহমেদ নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরটস: ফরচুন বরিশাল, ফিল্ডিং
জেমকন খুলনা: ২০ ওভার, ১৭৩/৬ (জাকির ৬৩, রাব্বী ৩/৩৩)।
ফরচুন বরিশাল: ১৯.৫ ওভার, ১২৫ অলআউট (হৃদয় ৩৩, শহিদুল ২/১৭)।
ফল: জেমকন খুলনা ৪৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: জাকির হাসান (খুলনা)