× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অবৈধ পন্থায় নিয়োগের অভিযোগের তদন্ত / সহকারী প্রধান শিক্ষক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এইচএসসি পাস!

বাংলারজমিন

প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
৬ ডিসেম্বর ২০২০, রবিবার

সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয় এইচএসসি পাসের জুনিয়র শিক্ষককে। তাকে অংশগ্রহণ করে তিনজনের কোরাম পূরণ করা হয়। পরে অবৈধভাবে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি এএ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতির বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি এএ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ১৫ই মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন প্রধান শিক্ষক। ওই পদে ৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। গত ২৩শে জুলাই ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ৩ জন প্রার্থী অংশ নেন। তারা হলেন- সাজিয়া আফরিন, শামীম হোসেন ও নুরুল ইসলাম।
এরমধ্যে সাজিয়া আফরিনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৯শে জুলাই সাজিয়া আফরিন ওই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেছেন। কিন্তু বিধি মোতাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল ইসলামের ওই পদে আবেদন করার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছিল না। তারপরও পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নিয়োগ কমিটি করসাজি করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবু সালেহ স্বপন লিখিতভাবে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি এ অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী গত ২রা ডিসেম্বর বিষয়টি তদন্ত করেছেন। যদিও তিনি কি পেয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি। শুধু বলেছেন কাগজপত্রগুলো নিয়ে এসেছি সেগুলো স্টাডি করছি। পরে রিপোর্ট পাঠানো হবে। বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবু সালেহ স্বপন বলেন, বিধি মোতাবেক একটি পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কমপক্ষে ৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এখনেও তিনজন নিয়োগ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে নুরুল ইসলাম নামের একজন এইচএসসি পাস এবং জুনিয়র শিক্ষক ছিলেন। তিনি কোনো ভাবেই এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা রাখেন না। শুধুমাত্র তিনজেনর কোরাম পূরণের জন্যই তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। বিষয়গুলো প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি জেনেশুনেই গোপন করেছেন এবং অবৈধভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি সম্পন্ন হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনি ওই স্কুলে সহকারী শিক্ষক চলাকালীন সময়ে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দুই বছর স্কুলে উপস্থিত না হয়ে একটি এনজিওতে চাকরি করেছেন।
একজন এইচএসসি পাসের জুনিয়র শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরির জন্য অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে গোসাইবাড়ি এএ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। পরীক্ষা নিয়োগ কমিটির মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান। নুরুল ইসলাম এইচএসসি পাস বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে তদন্তে গিয়েছিলাম। স্কুল থেকে কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। সেগুলো এখন স্টাডি করছি। কয়েকদিন পরে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অবশ্যই কাম্য যোগ্যতা থাকতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর