× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মসজিদের ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলা করায় বাদীর বাড়িতে হামলা

বাংলারজমিন

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
৬ ডিসেম্বর ২০২০, রবিবার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একটি মসজিদের জলকর ইজারার ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের গদাই রূপসী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কমিটির একজন সদস্য ও গ্রামের এক ব্যক্তি আদালতে আলাদা দুইটি মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজন গতকাল দুপুরে মামলার একজন বাদীর বাড়িতে ইট-পাটকল ছুড়ে হামলা করে। পরে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মামলার এজাহার ও সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় ৬০ বছর আগে গদাই রূপসী গ্রামের বড় জামে মসজিদের নামে তিনটি জলকর পত্তনী নেয়া হয়। তিনটি জলকরের আয়তন প্রায় ৪৫ বিঘা। এ ছাড়া কিছু ফসলি জমি রয়েছে মসজিদের নামে। এই জলকর ও ফসলি জমি বাৎসরিক প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়।
ইজারার টাকা দিয়ে গ্রামের দুইটি মসজিদের সংস্কার, সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ, ইমামের বেতন ও মাঝে মধ্যে জলকর পুনঃখনন এবং সংস্কার করা হয়। এ অবস্থায় গত ৭ বছর আগে গ্রামের সাইদুল ইসলাম সভাপতি ও বাবু আহমেদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেয় মসজিদ কমিটির। কিন্তু দায়িত্বে আসার পর থেকেই মসজিদের বিশাল অঙ্কের এই টাকা তারা ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন করেন না এবং কমিটির সদস্যদের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেননা। এমনকি তারা নতুন কমিটি না করে জোরপূর্বক সাত বছর ধরে বহাল রেখেছেন। এই ৭ বছরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে মিলে প্রায় ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন কমিটির একাধিক সদস্য। এতে কমিটির সদস্য আলহাজ নুরুল ইসলাম গত ১০ দিন আগে পাবনার সহকারী জজ আদালতে সভাপতি ও সম্পাদক সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী আলহাজ নুরুল ইসলাম বলেন, ৭ বছর আগে গঠিত এই কমিটি হওয়ার পর থেকেই আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে প্রায় ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন। তাই আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও মামলার সাক্ষী জালাল উদ্দিনকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন তারা। আমরা ভয়ে অনেকটা আত্মগোপন করে রয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু আহমেদ বলেন, মসজিদের জলকর ইজারার কোনো টাকা কেউ তসরুপ করেনি। সকল টাকার আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত সময়ে দেয়া হয়। ইজারার টাকা দিয়ে মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও জলকর সংস্কার কাজে খরচ করা হয়েছে। তাই ইজারাদারের কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা নেয়ায় ব্যাংকে রাখা সম্ভব হয়নি। টাকা নেয়ার পরপরই খরচ হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা একটি মামলার বাদী জালালের বাড়িতে হামলা করা হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। যেহেতু এ বিষয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তাই নতুন করে আর এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হবে না। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানা পুলিশ সর্বদা ওই এলাকা নজরদারিতে রাখবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর