কলেজছাত্রীকে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আব্দুল কাইয়ুম নামে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। ৩রা ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরউত্তরবন্দ গ্রামের মন্নাছের বাড়ি থেকে কলেজছাত্রীসহ পুলিশ সদস্যকে আটক করে গ্রামবাসী । আটককৃত পুলিশ সদস্যের বাড়ি জামালপুর সদরে। তিনি নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি থানার লেপসিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল বলে জানা গেছে। কর্মস্থলের কথা স্বীকার করেছেন ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ুম।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী আসাদুজ্জামান জানান, মন্নাছের বাড়িটি এলাকায় বিতর্কিত একটি বাড়ি বলে চিহ্নিত। এর আগে এ বাড়িতে অনৈতিক অনেক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় চলমান ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেককেই খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেন। ইউএনও এরশাদ উদ্দিন থানার ওসিকে ঘটনা জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও তরুণীকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জানান, তিনি গোপনে ২০১৮ সালে ওই তরুণীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। পরদিন প্রথম স্ত্রী জামালপুর থেকে নান্দাইল থানায় এসে স্বামীর চাকরি রক্ষার স্বার্থে বিয়ের সম্মতি দিলে কলেজ ছাত্রীর অভিভাবক পক্ষ ২০ লক্ষ টাকা দেনমোহরানায় বিয়ের কাজ সম্পন্নের দাবি করে। এতে আব্দুল কাইয়ুমের পক্ষ রাজি হয়নি । অবশেষে অনেক নাটকীয়তার পর ৪ঠা ডিসেম্বর রাতে নান্দাইল মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে । নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, আসামি পুলিশ সদস্য আব্দুল কাইয়ুমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।