ওয়াদি আল মালিক। সুদানের এই অংশটি বর্তমান বিশ্বের নজরে। এখানেই খুঁজে পাওয়া গেছে পৃথিবীর প্রাচীন স্থানের নাম। বুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল এই এলাকায় খননকার্য করছিলেন। সেখানেই তারা প্রায় ৫ হাজার বছর আগের একটি পাথরের সন্ধান পেয়েছেন। এই পাথরটিকে তারা ব্রিশ্চিক রাজার একটি রাজত্বের নিদর্শন হিসাবে মনে করছেন। এই পাথরটির বিশেষত্ব হল, এর একেবারে উপরের দিকে একটি গোলাকার চিহ্ন দেয়া রয়েছে। এই চিহ্ন সেই সময়কার রাজা এবং তার রাজত্বের প্রতীক হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
বুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর লাডইউংয়ের মতে, এই রাজত্বের রাজা ব্রিশ্চিক ছিলেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি বিশ্বের ইতিহাসে নিজের ছাপ ছেড়েছিলেন। অনুমান করা হয় যীশুর জন্মের ৩০৭০ বছর আগে এই এলাকায় এই রাজা রাজত্ব করেছিলেন। নীল নদের ধারে অবস্থান করার ফলে এই সাম্রাজ্য অতি সহজেই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। সেইযুগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে শাসনতন্ত্র কায়েম করেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনুমান করা যায়, এই সময়কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও অনেক বেশি সুষ্ঠু ছিল।
পাথরের এই আবিস্কারটি দু’বছর আগে হয়েছিল। খননকার্য চলার সময় হঠাৎই পাথরটি নজরে আসে। তবে তার গায়ে খোদাই করা চিত্রগুলির গুরুত্ব ছিল অসীম গুরুত্বের। পাথরের গায়ে আরও দু’টি ছবি রয়েছে- যা দেখে রাজা ব্রিশ্চিকের চরিত্র সম্পর্কে অনুমান করা যায়।
পাথর আবিস্কারের ক্ষেত্রে এই আবিস্কার একটি যুগান্তকারী হিসাবেই মনে করছেন ইতিহাসবিদরাও। তবে ইজিপ্টের ইতিহাসের নতুন জানালা খুলে দিয়েছে এই আবিস্কারটি। বিশ্বের দরবারে ইজিপ্টের সভ্যতা যে নিজের আধিপত্য বজার রেখেছিল, তা এই আবিস্কার থেকেই বোঝা যায়। এর আগেও পাথরের বেশ কয়েকটি আবিস্কার হয়েছে। তবে তাদের সকলকে ছাপিয়ে গেছে এই আবিস্কারটি।
পুরাতত্ববিদরা মনে করছেন, এই এলাকায় আরও খননকাজ করতে হবে। চালিয়ে যেতে হবে ইতিহাসের অনুসন্ধান তবে প্রাচীন সভ্যতার আরও ইতিহাস বিশ্বের দরবারে উন্মোচিত হবে।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল