× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৫ মে ২০২৪, রবিবার , ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পার্কের টেন্ডারে অনিয়ম

বাংলারজমিন

ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম থেকে
১৭ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় বহদ্দারহাট বাস স্টেশনের পাশে কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিশন টাওয়ার ঘিরে গড়ে উঠা বিনোদন কেন্দ্র এক সময়ের শহীদ জিয়াস্মৃতি কমপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত বর্তমানে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পরিচালনা ও সংরক্ষণের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জুলফিকার এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মুক্তি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন বহুমুখী সমবায় সমিতিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই অভিযোগ তোলেন। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চট্টগ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গত ৭ই ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকে বরাবর দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানানো হয় বলে জানান জুলফিকার এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর সৈয়দ গোলাম সায়েম।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এতবড় একটা পার্কের টেন্ডার সিডিউল প্রকাশ করা হয়েছে শুধুমাত্র এটা পত্রিকায়। তাও অখ্যাত, যেটি সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছায় না। অথচ এই পার্কের টেন্ডার বিষয়ে আমরা কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খবর নিয়েছি। আমাদের বলা হয়েছিল, ডিসেম্বরের ১২ তারিখ টেন্ডার শিডিউল প্রকাশ করা হবে।
কিন্তু তার আগেই ৫ই নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
টেন্ডার জমা দেয়ার তারিখ ২৪শে নভেম্বর শেষ হয়ে গেছে। অথচ দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেছিলেন, যখন টেন্ডার দেয়া হবে তখন সবাইকে জানানো হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের অভিযোগ, টেন্ডার চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা টেন্ডারের বিষয়টি গোপন রাখেন। যা অনিয়ম ও অসংগতি। এতে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবরে করা আবেদনপত্র দেয়া হয়। বীরমুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৬ সালে এই পার্কটির নাম শহীদ জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স থাকলেও শুরু থেকেই এটি দর্শনার্থীদের কাছে মিনি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম নামেই পরিচিতি ছিল। এটি মূলত একটি থিম পার্ক যেখানে বাংলাদেশের সকল দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে অবিকল নতুন করে রূপায়ণ করা হয়েছে।বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পাশে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১ একর জায়গার উপর এই পার্ক দাঁড়িয়ে আছে। বিএনপির কব্জা থেকে বের করে আমরা স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নাম দিয়েছিলাম। এ পার্কের জন্য আমাদের অনেক শ্রম ব্যয় হয়েছে। কিন্তু তার মূল্য আমরা পেলাম না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর