× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাবিতে সেমিস্টার ফি, আবাসন নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

শিক্ষাঙ্গন

আরাফ আহমেদ, শাবি প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) ডিসেম্বর ২২, ২০২০, মঙ্গলবার, ৬:৩৮ অপরাহ্ন

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাকালে অনলাইনে সম্পন্ন হওয়া দুই সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার বিষয়ে প্রশাসনের  নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ  শিক্ষার্থীরা। গৃহীত ‘সিদ্ধান্তগুলো শিক্ষার্থীবান্ধব হয়নি’ উল্লেখ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীরা এবং হলের আবাসিক ছাত্রীরা প্রশাসনের নিকট পৃথকভাবে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান করেছেন ।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা প্রতি সেমিস্টারের পূর্বে এক মাস সময় নিয়ে অফলাইনে রিভিউ ক্লাস নেওয়া, শতভাগ উপস্থিতি নম্বর প্রদান করা, সকল ধরনের ফি মওকুফ এবং জরিমানা ছাড়া পরিশোধের সুযোগ দেয়া, শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক, মানসিক এবং স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করে সকল আবাসিক হল খুলে দেয়া, এবং প্রশাসনকে সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দাবি জানান।

এদিকে আবাসিক হলের অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের ২৫৮ ছাত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত পৃথক স্মারকলিপিতে বলা হয়, সিলেটের বাহির থেকে পড়াশোনা করতে আসা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আবাসিক হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত বাসায় অবস্থান করে। কিন্তু সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ছাত্রীরা। করোনার এই সময়ে সিলেটে এসে মেয়েদের জন্য বাসা/মেস ভাড়া নেওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাছাড়া মেসে গাদাগাদি পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হবে না বলে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন। আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত ও নিরাপাদ স্থান উল্লেখ করে পরীক্ষার ১৫ দিন আগে আবাসিক হল খোলে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

একাডেমিক কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ই ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় আগামী বছরের ১৭ই জানুয়ারি থেকে ১৮ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই সঙ্গে ৭ই জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার ফি পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।
এছাড়া নিজ দায়িত্বে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকারপত্র দিতেও নির্দেশ প্রদান কর হয়। এবং শিক্ষার্থীদের আবাসনের বিষয়ে বিভাগসমূহকে সহযোগিতা প্রদানের কথা বলা হয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তসমূহ জানার পর থেকেই সিদ্ধান্তুগুলোতে বিভিন্ন অসংগতি ও শিক্ষার্থীবান্ধব নয় উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত রোববার ও সোমবার পৃথক স্বারকলিপিতে পাঁচ দফা দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর