× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফিরে দেখা বোয়িং ৩৭৭

তথ্য প্রযুক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা
২৮ ডিসেম্বর ২০২০, সোমবার

আকাশের বুকে ভেসে বেড়াতে কার না ভাল লাগে। আর সেই যাত্রা যদি হয় চরম সুখের তাহলে তো কথাই নেই। কম খরচের মধ্যে বোয়িং ৩৭৭ বিমানে ছিল সমস্ত ধরনের সুবিধাই। হাল্কা পানীয় থেকে শুরু করে হাল্কা মেজাজে বিমানে চড়ার মজাই ছিল আলাদা। একবার ভেবে দেখুন বোয়িংয়ের নরম সিটে বসে আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে ভেসে বেড়ানো যেন স্বর্গসুখের সমান। বিমানে বসে থাকার সময় কোনও বাইরের শব্দ আপনার কান ভেদ করবে না। যাত্রীদের সুখযাত্রার সমস্ত ধরনের হদিশই ছিল এই বিমানে। ১০০ আসন বিশিষ্ট এই বিমানে চেপে ছুটিতে যেতে খুব একটা মন্দ ছিল না।
ঘন্টায় ৩০০ মাইল অতিক্রম করা এই বিমান অতি দ্রুত তার যাত্রীকে পৌঁছে দিতে পারত নির্দিষ্ট গন্তব্যে । ঐতিহাসিক জন লুচের মতে বোয়িংয়ের এই বিবর্তন আগে ছিল না। তবে বিবর্তনে নিজেকে বিলাসবহুল একটি বিমান হিসাবে তৈরি করেছিল বোয়িং। বিমানসেবিকারাও যাত্রীদের মনোরঞ্জনের সমস্ত ধরনের আয়োজনই করেছিলেন। ছিল সুস্বাদু নানা ধরনের খাবারের পদও। যেগুলি সামনে এলে জিভে জল আসবেই। অনেক বিমানেই দেখা যায় যাত্রীরা চুপচাপ নিজেদের মধ্যেোই মগ্ন হয়ে রয়েছেন। কিন্তু এখানেই বোয়িং ৩৭৭ সকলকে টেক্কা দিয়েছিল। ঘরোয়া পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল বিমানের অন্দরমহল। যেখানে নিজেদের আত্মীয়দের সঙ্গে গল্পে মশগুল হতে কোনও বাধা ছিল না। গল্প করতে পারতেন অন্য  যাত্রীদের সঙ্গেও। রাতের আহারের পর যাত্রীদের মনমত নিদ্রারও ব্যবস্থা ছিল এখানে। বাড়িতে থাকা বিছানার মতই ছিল এখানকার আসনগুলি। নিশ্চিন্তে নিদ্রা যেতে বাধা নেই কোনো। বিমানের সিটগুলি এতটাই সুখকর, যেখান থেকে কোনও লম্বা মানুষও নিজেকে শান্তিতে মেলে ধরতে পারতেন। ১৯৪৭ সালে প্রথমবার শুরু হয়েছিল এই বিমান পরিষেবাটি। তবে যাত্রী পরিষেবার দিকে প্রথমে বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। পরে ধীরে ধীরে যাত্রী পরিষেবায় মন দেন কর্তারা। ফলে দ্রুত চাহিদার শিখরে পৌঁছে যায় এই বিমানের পরিষেবা। বাড়তে থাকে আসন, বাড়তে থাকে পন্য পরিবহণের মাত্রাও। তবে দুঃখের কথা হল এই বিমান পরিষেবা বর্তমানে আর নেই। তবে নিজের ঐতিহ্যর এবং গরিমাকে সঙ্গে নিয়ে নিউ ইয়র্ক শহরের পান এম জাদুঘরে তার ছবি আজও সকলকে মোহিত করে দেয়। সেই বিমানের যাত্রীরা আজও তাদের সুখকর সেই যাত্রাকে মনে রেখেছেন। তাদের কাছে আজও তা স্মরণীয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর