পৌর নির্বাচনের প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সোমবার। এতে মেয়র পদে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার ভোট হওয়া ২৪ পৌরসভার মধ্যে একটিতে মেয়র পদের ফলাফল প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ২৩ পৌরসভায় গড়ে ৬৫.০৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোট শেষ হওয়ার আগেই খুলনার চালনা পৌরসভার মেয়র পদের একজন প্রার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ওই পৌরসভায় মেয়র পদের ফল স্থগিত করে ইসি। মহামারির মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের সেই উত্তাপ ছিল না। বিএনপি কারচুপির অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেও নির্বাচন কমিশনার বলেছেন নির্বাচন সফল হয়েছে।
দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন, বিএনপি’র ধানের শীষের দুইজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। ইসি’র জনসংযোগ শাখার তথ্য অনুযায়ী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সর্বোচ্চ ৮৫.৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে এ নির্বাচনে। আর সবচেয়ে কম চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৪০.৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা সারা দেশে সবচেয়ে কম। ২৩ পৌরসভায় ৬ লাখ ১২ হাজার ৫৭০ জন ভোটার ছিলেন এবার। এর মধ্যে মেয়র পদে বৈধ ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৯টি। সোমবার ভোট শেষে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেছিলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে খুব ভালো হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল ভালো। সাকসেসফুল নির্বাচন হয়েছে।
পৌর ভোটের প্রথম ধাপে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই ধারণা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, কোনো কেন্দ্রে ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ ও ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। এখন সঠিক পরিসংখ্যান দেয়া যাবে না। অনেক কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি, ৬০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েনি।