বিকট সব শব্দ, গানের বাদ্য, সুরের ঝংকার আর লাখো কণ্ঠ কাঁপিয়ে দিল রাতের আকাশ। উড়ছে ফানুসের আগুন, ঝিলমিল ফটকা। ভবনের ছাদে ছাদে সব বয়সী মানুষের উল্লাস। হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২১ বরণে এমন আয়োজন ছিল বৃহস্পতিবার রাতে। সঙ্গে নানা খাবারের পার্টি। হই হুল্লোড়ে মাতোয়ারা গোটা জাতি। নাচ, গানের আসর তো বাধ্যতামুলক। বাঁধভাঙ্গা আনন্দ সবার মাঝে।
কারো মনেই গত বছরের বিষময় বেদনার রেখাপাত দেখা যায়নি।
নতুন বছরে নতুন দিনের আশার বাণীও ছিলনা। সবাই ব্যস্ত আনন্দ আর উৎসবে। অথচ অন্তত গত রাতে এমনটি হওয়ার কথা ছিলনা। গোটা বিশ্ব যেখানে অদৃশ্য ভাইরাসে কাবু, বাংলাদেশ যেখানে এ ভাইরাসের সঙ্গে অসম যুদ্ধে লিপ্ত। সেখানে মানুষের মনে এ আনন্দ আসে কোথা থেকে? ফানুসের আগুন উড়িয়ে আমরা কি জানান দিয়েছি? আতশ বাজি ফাটিয়ে আমরা কাকে স্বাগত জানাচ্ছি? এসব কি আমাদের মনে, মননে, চিন্তায় একবারও আসেনি? নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সারাদেশে হাজার কোটি টাকার ফানুস আর বাজির পেছনে খরচ করে আমরা কি পেয়েছি? আনন্দ মানুষের জীবনেরই অংশ।
কিন্তু কখন আনন্দ করতে হয় সেই বোধটুকুও আমরা হারিয়ে ফেলেছি। সরকারের দেয়া বিধি নিষেদকেও তোয়াক্কা না করে এমন অবিবেচক কাজ কতটুকু যৌক্তিক? এমন প্রশ্ন উঠেছে পৃথিবীর অস্বাভাবিক সময় বলেই। আমরা এসব না করে প্রত্যেকেই পারতাম মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পানাহ চাইতে। আর্জি জানাতে পারতাম অদৃশ্য ভাইরাস থেকে যেন আমাদের তিনি রক্ষা করেন। নতুন বছরের সূর্য যেন উদিত হয় বিগত দিনের সব দূর্গতি বিনাশ করে।