তিনি এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। ১৩০ কোটি ভারতীয়কে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন কোভিড জয় করার। বিশেষজ্ঞ কমিটি আদর পুনাওয়ালার সিরাম ইনস্টিটিউটকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড-এর ছাড়পত্র দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত স্বপ্নপূরণের দোরগোড়ায়। এর আগে যক্ষা, হেপাটাইটিস বি, টিটেনাস, পোলিওর ভ্যাকসিন নির্মাণের কৃতিত্ব আছে সিরামের টুপিতে। কিন্তু আদর মনে করেন, কোভিড-এর এই টিকা সিরামের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞান। মাত্র ৩৯ বছর বয়স আদরের। ৩০ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ সিইও’র পদে বসেন এই ড্রিম মার্চেন্ট।
বৃটেনের ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-এর পাঠ নেয়া আদরের সংসার সুন্দরী স্ত্রী নাতাশা আর দুই ছেলেকে নিয়ে।
নাতাশাকে তিনি পান তদানীন্তন কিং ফিশার-এর মালিক বিজয় মালিয়ার একটি পার্টিতে। নাতাশা তার অনুপ্রেরণা আর বন্ধুও বটে।
পুনেতে ২২ একরের ফার্ম হাউস, মুম্বাইয়ে ৫০ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদ। গ্যারাজে মার্সিডিজ, রোলস রয়েস, ল্যাম্বরঘিনি, বুগাত্তির ছড়াছড়ি। আর আছে পুনাওয়ালাদের বিখ্যাত আস্তাবল। রেসের ঘোড়ার ব্রিডিং করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন পুনাওয়ালারা। ঘোড়ার সিরাম নিয়ে ব্যবসা করতেন আদরের বাবা সাইরাস পুনাওয়ালা। সেখান থেকেই সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
আদরের ছ’বছরের ছেলের জন্মদিনে পুনের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল ব্যাটম্যানের ব্যাট মোবাইল গাড়ি। লোকে আশ্চর্য হয়েছিল দেখে, একটি মার্সিডিজ সি ক্লাস গাড়িকে কিভাবে রূপান্তরিত করে ব্যাটম্যানের গাড়ি বানিয়েছিলেন আদর। এখন রূপান্তর করছেন ভ্যাকসিনের- ১৩০ কোটি মানুষের স্বপ্নের।