অত্যন্ত মানসিক চাপ এবং পরিবারের ইসকিমিক হার্ট-এর ইতিহাস- এই দু’য়ের কারণেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তার বাবা চন্ডী গঙ্গোপাধ্যায়ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাইপাস সার্জারির পর প্রয়াত হয়েছিলেন।
সৌরভ ভক্তদের জন্যে রবিবাসরীয় সকালে একটা ভাল খবর। সৌরভের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে এবং তিনি স্থিতিশীল আছেন।
শনিবার বিকালে তার ব্লকেজ থাকা একটি ধমনীতে স্টেন্ট বসানো হয়। বাকি দু’টিতে স্টেন্ট লাগবে কিনা তা নির্ধারণ করবে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। বোর্ডের সদস্য ডা. আফতাব হোসেন জানান, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে সৌরভের ধমনীতে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। সন্ধ্যায় তিনি চা, বিস্কুট এবং রাতে হাল্কা খাবার খেয়েছেন।
সৌরভ এখন স্থিতিশীল জানিয়ে ডা. আফতাব হোসেন বলেন, স্বাভাবিক কথাবার্তাও বলছেন সৌরভ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শনিবার সন্ধ্যায় সৌরভকে দেখে যান হাসপাতালে। দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাসও এসেছিলেন। সৌরভ তাদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সৌরভের স্ত্রী ডোনার সঙ্গে টেলিফোন এ কথা বলেন। প্রয়োজনে সৌরভকে দিল্লির এইমস নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর প্রস্তাবও দেন তিনি। তবে, কলকাতায় যেহেতু ভালো চিকিৎসক আছেন তাই সৌরভকে এখনই অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা ভাবছে না পরিবার।
এদিকে শনিবার একটু দেরিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর অসুস্থতার খবর পেয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। সঙ্গে সঙ্গে টুইট করে দাদার আরোগ্য প্রার্থনা করেছিলেন। বেশি রাতে ফোন করেন সৌরভ-এর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। ফোনে শচীন বলেন, দুঃসময় সব মানুষের জীবনে আসে। আবার তা কেটেও যায়। সাহস রাখো। দাদা সুস্থ হয়ে উঠবেই।
ডোনা জানান, শচীনের এই কথা তাকে সাহস জুগিয়েছে। ক’দিন আগে শচীনের জন্মদিনে তার ছোটবাবুকে শুভেচ্ছা জানান সৌরভ। দাদা বলা ছাড়াও শচীন সৌরভকে মাঝে মাঝে বাবুমশাই বলে ডাকেন।
মুম্বাইয়ে সাংবাদিকদের শচীন জানান, বাবুমশাই কাজ ছাড়া থাকতে পারেনা। অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা বাবুমশাইকে অসুস্থ করে তুলেছে। ক’দিন আগে কলকাতায় এক জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থার অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেছিলেন, ষাট হয়ে গেলে তো আর কাজ করতে পারবো না। তাই সব কাজ করে নিচ্ছি। এর মধ্যেই তার এই অসুস্থতা।