× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তিনি আমার টিমকে আক্রমণ করে কথা বলতে শুরু করলেন

এক্সক্লুসিভ

কাজল ঘোষ
৫ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

আমরা ওয়াশিংটনের একটি আইনি প্রতিষ্ঠান ডেবোভয়েজ অ্যান্ড প্লিম্পটনে পৌঁছে গেলাম। তারাই এই মিটিংটির আয়োজন করেছিল। আমাদেরকে বিশাল একটি সম্মেলন কক্ষে নিয়ে যাওয়া হলো সেখানে প্রায় ডজন খানেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বিনয়ের সঙ্গে অভ্যর্থনা শেষে আমরা সম্মেলন কক্ষের একটি বড় টেবিলে বসি। টেবিলটির এক মাথায় আমি বসেছিলাম। বড় বড় ব্যাংকের প্রধান আইনজীবীরা সেখানে ওয়ালস্ট্রিটের সবচেয়ে বড় আইনজীবীদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এসব আইনজীবীর মধ্যে ছিলেন ‘ওয়াল স্ট্রিটের ট্রমা সার্জন’ বলে খ্যাত একজন আইনজীবীও।  

সভার শুরুতে একধরনের উত্তেজনা কাজ করছিল।
ব্যাংক অব আমেরিকার আইনজীবী তার বক্তব্য শুরু করলেন এবং তিনি আমার টিমকে আক্রমণ করে কথা বলা শুরু করলেন। তিনি তার বক্তব্যে অভিযোগ করলেন ব্যাংকগুলোকে আমরা কি ধরনের ভয়ানক দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছি। আমি মশকরা করছি না। তিনি বললেন, আমাদের এই প্রক্রিয়ার কারণে ব্যাংকগুলোতে ভয়াবহ ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার কর্মীরা সব তদন্ত এবং নিয়ন্ত্রকদের জবাবে পাল্টে যেতে থাকলো। বিষয়টি ছিল হতাশাজনক। এর জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার কাছ থেকে তিনি জবাব চান। কি কারণ ছিল?

আমি যথাযথভাবেই এর মধ্যে অনুপ্রবেশ করলাম। ‘তুমি কি কষ্টের কথা বলছো?’ ‘তুমি কি সেই কষ্ট বুঝতে পারো যার কারণ তুমি নিজেই।’ আমি আমার দৃষ্টিশক্তি দিয়ে তা অনুভব করতে পারি। এটা আমাকে খুবই কষ্ট দেয় যখন দেখি বাড়ির মালিকরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে বাড়ি ছাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার লাখ লাখ ছেলেমেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না কারণ তাদের পিতামাতা বাড়ি ছাড়া হয়েছে। তুমি যদি কষ্টের কথা বলতে চাও, আমি আরো কিছু কষ্টের কথা বলতে পারি।

ব্যাংক প্রতিনিধিরা শান্ত থাকলেও রক্ষণাত্মক হয়ে ওঠলো। তারা বলতে লাগলো বাড়ির মালিকরা মর্টগেজের অর্থ পরিশোধ করতে পারবে না এবং বাড়তি সুবিধা পেতেই এরকম দোষারোপ করছে। আমি এর কোনোটার মধ্যেই ছিলাম না। আমি চিন্তা করতে লাগলাম বাস্তব জীবনে বাড়ি কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে।
বেশির ভাগ পরিবারই বাড়ি করতে গিয়ে বড় রকমের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত হয়। এটা প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন একটি বিষয়কে অনুমোদন দেয়া যা হয়ে থাকে তার সবচেয়ে কঠিন কর্ম। এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়। যখন ব্যাংকাররা আপনাকে বলে যে, আপনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য তখন আপনাকে বিশ্বাস করতে হয় তিনি আপনার সৎ সংখ্যা পর্যালোচনা করেছেন। আপনি যতটা মোকাবিলা করতে পারবেন তার থেকে বেশি অর্থ নিতে পারবেন। যখন এ প্রস্তাবটা মেনে নিলেন তখন আপনাকে নিয়ে ব্রোকার বেশ খুশি। আপনি হয়তো ভেবে থাকবেন আপনাকে নিয়ে তিনি নতুন বাড়িতে যাচ্ছেন। কিন্তু যখন কাগজপত্র চূড়ান্ত করার সময় চলে আসবে তখন এটা মৌলিকভাবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করার বিষয়। আপনাকে হয়তো শ্যাম্পেন খেতে বলা হবে সেখানে আপনার ব্রোকার আছেন, ব্যাংকার আছেন এবং আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন আপনার জন্য উত্তম স্বার্থই তাদের মনে বহন করছেন। যখন তারা আপনার সামনে একগাদা কাগজ উপস্থাপন করবেন এবং আপনি তাদের বিশ্বাস করবেন তারপর এতে আপনি স্বাক্ষর করতে থাকবেন। স্বাক্ষর করবেন আর করবেন।

রুমভর্তি আইনজীবীদের আমি পর্যালোচনা করেছি এবং এটা নিশ্চিত হয়েছি যে, তাদের মধ্যে একজনও এই বাড়িটির মর্টগেজ সম্পর্কিত ডকুমেন্টের প্রতিটি শব্দ পড়েননি। যখন আমি আমার অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলাম তখন আমিও এটা করেছিলাম।
কমালা হ্যারিসের অটোবায়োগ্রাফি
‘দ্য ট্রুথ উই হোল্ড’ বই থেকে
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর