রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিয়েছে দুই শিশু। তাদের হাত-পা, মাথা আলাদা হলেও পেট একটাই। তাদের কোনো পায়ুপথ নেই। দুই বাচ্চার একটি ছেলে। অন্যটি মেয়ে। বাচ্চা দুটির মায়ের নাম আঙ্গুরি বেগম (৩৫)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বিদিরপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী। রুবেল একজন রুটির দোকানী।
শিশু দুটির এমন শারীরিক গঠন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারটি।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু দুটির জন্ম হয়। তাদের এখনও কোনো নাম রাখা হয়নি। দুপুর ২টার দিকে আঙ্গুরি বেগম ও তার দুই সন্তানকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হয়েছে। তারা গ্রামের বাড়ি ফিরে গেছেন। এর আগে দুপুর ১টার দিকে তাদের হাসপাতালের গাইনি ইউনিট-২ এর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে পাওয়া গেছে। ওয়ার্ডের ২২ নম্বর বেডে আঙ্গুরি বেগম তখন ঘুমাচ্ছিলেন। শিশু দুটিকে কোলে নিয়ে বসেছিলেন তাদের নানি আনোয়ারা বেগম। তিনি কাঁদছিলেন। হাসপাতালে শিশু দুটিকে দেখতে অন্য রোগীর স্বজনেরা ভিড় করছিলেন। এসেছিলেন আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই। স্বজনরা জানান, প্রসবের ব্যথা শুরু হলে রোববার সন্ধ্যায় আঙ্গুরি বেগমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। তখন আল্ট্রাসনোগ্রাম করে চিকিৎসক জানান, এখানে তার কিছুই করা সম্ভব না। তারা তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। রাত ২টার সময় তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ভোরে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ দুই শিশুর জন্ম হয়।
তবে বাচ্চা দুটির শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে চাননি হাসপাতালের গাইনি ইউনিট-২ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক নার্গিস শামীমা স্বপ্না। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, একই পেট নিয়ে দুটি যমজ বাচ্চার জন্ম হয়েছে। তাদের কোনো পায়ুপথ নেই। পায়ুপথের জন্য সার্জারির প্রয়োজন। সে কারণে বাচ্চা দুটিকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।