ঢাকার কলাবাগানে বন্ধুর বাসায় আনুশকা নুর আমিন ‘ধর্ষণের পর হত্যা’ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন ফারদিন ইফতেখার দিহানের বাসার নিরাপত্তাকর্মী দুলাল হোসেন। গতকাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় দুলালের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দিতে দুলাল এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য দিয়েছেন। এর আগে সোমবার দুপুরে দুলালকে মিরপুর রোডের ডলফিন গলির সামনে থেকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। আনুশকার মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন দুলাল।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুলাল এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। কারণ তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। ঘটনার পরপরই গা-ঢাকা দেন দুলাল।
তাই তাকে খোঁজার জন্য পুলিশের একটি টিম কাজ করেছে। দুলাল প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবেই জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওইদিন বাসা থেকে যখন আনুশকাকে নিচে নামানোর জন্য তার সহযোগিতা নিয়েছিল দিহান। তারা দু’জন মিলেই বাসার তিন তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে আনুশকাকে ধরে নিচে নামিয়ে গাড়িতে তুলেছিল। তবে দিহান বাসার ভেতরে গিয়ে কি দেখেছে সেটি জানাতে অপরাগতা দেখান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনুশকার মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আনুশকার কথিত বন্ধু দিহানকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া ওই সময় হাসপাতালে থাকা দিহানের তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। ঘটনার সঙ্গে তাদের প্রাথমিকভাবে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরদিন মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আনুশকার বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয় শুধু দিহানের বিরুদ্ধে। দিহান বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
ডিএমপি’র রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ও মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, মামলার সাক্ষী হিসেবে দুলাল বিজ্ঞ ম্যাজিট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।
abdullah
১৩ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার, ১০:১৪Dear editor, saying to you, it is clearly a murder, she is killed, by normal rape a girl can not die. every body should understand it. judiciary should understand it also.