× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইরান এখন আল কায়েদার নতুন ঘাঁটি- পম্পেও

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৩, ২০২১, বুধবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আল কায়েদার নতুন অপারেশনাল হেডকোয়াটারের সুযোগ দিয়েছে ইরান। ইরান এখন আল কায়েদার নতুন ঘাঁটি। এমন অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এক বিবৃতিতে তিনি এসব অভিযোগ করেন। তার ওই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে। এতে বলা হয়েছে, অন্য যেকোনো সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের চেয়ে আল কায়েদার হাত বেশি মার্কিনির রক্তে রঞ্জিত। আমি নতুন তথ্য দিচ্ছি কিভাবে আল কায়েদার নতুন অপারেশনাল সদর দফতর হয়ে উঠেছে ইরান। যেহেতু আল কায়েদা মার্কিনি ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করে, তাই তাদের সিনিয়র নেতাদের অভয়ারণ্যের সুযোগ দিয়েছে তেহরান।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আল কায়েদার অন্য সদস্যদের সঙ্গে মুক্তভাবে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য সিনিয়র নেতাদের ২০১৫ সাল থেকে অনুমোদন দিয়েছে তেহরান। এ ছাড়া তাদেরকে বিভিন্ন রকম কর্মকা- পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছে। আগে এসব কর্মকা- পরিচালিত হতো আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে। এমন নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে হামলা চালানো, প্রপাগান্ডা চালানো এবং তহবিল সংগ্রহ করা।
এখানে উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পশ্চিমা শক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি করেন। বিনিময়ে তিনি ইরানের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ শিথিল করেন। ওই বছর থেকে ইরানে আল কায়েদার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে মাইক পম্পেও তার বিবৃতিতে ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তিনি বিবৃতিতে আরো বলেছেন, ইরানের ভিতরে বসবাস করে আল কায়েদার কর্মকা- পরিচালনা করেন এমন তিনজন সদস্যকে ২০১৬ সালে শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এবং তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ দিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ইরান জানতো এবং তাদেরকে কর্মকা- চালাতে অনুমোদন দিয়েছে সজ্ঞাতে। এর মধ্যে ৯/১১ এর বিমান ছিনতাই, আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিও আছেন।  তিনি আরো বলেছেন, ইরান হলো আল কায়েদার ঘাঁটি। তারা বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত নিরাপত্তার বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। এ জন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মাইক পম্পেও আরো বলেন, আমি এই ঘোষণা দিচ্ছি যে, নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪ এর অধীনে স্পেশালি ডিজাইনেটেড গ্লোবাল টেরোরিস্ট হিসেবে ইরানভিত্তিক আল কায়েদার নেতা মুহাম্মাদ আব্বাতাই ( তিনি আবদ আল রহমান আল মাগরেবি নামেও পরিচিত) এবং সুলতান ইউসুফ হাসান আল আরিফকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছি। একই কর্তৃপক্ষের অধীনে আমি আরো ঘোষণা দিচ্ছি ইসমাইল ফুয়াদ রাসুল আহমেদ, ফুয়াদ আহমাদ নুরী আলী আল শাহখান এবং নিয়াত হামা রহিম হামা শরফিরকে আল কায়েদা কুর্দিশ ব্যাটালিয়ানের (একিউকেবি) নেতা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আল কায়েদার সঙ্গে এই গ্রুপটির যোগসূত্র আছে। তারা ইরান ও ইরাক সীমান্তে অপারেশন পরিচালনা করে। এসব কারণে মার্কিন কোন ব্যক্তিকে এসব ব্যক্তির সঙ্গে কোনো রকম লেনদেন, সম্পত্তির লেনদেন এবং সম্পদের স্বার্থগত সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হবে।
ইরানভিত্তিক আল কায়েদার নেতাদের বিচারের মুখোমুখি দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। আবদ আল রহমান আল মাগরেবি কোথায় আছেন তা শনাক্ত করতে তথ্য সরবরাহকারীকে ৭০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস (আরএফজে)।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর