মেসিহীন বার্সেলোনার পরীক্ষা নিলো রিয়াল সোসিয়েদাদ। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ সমতায় রেখে টাইব্রেকারে নিয়ে যায় বার্সেলোনাকে। শ^াসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে সোসিয়েদাদকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপারকোপার ফাইনালে পৌঁছে গেলো রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।
শুরু থেকেই বার্সেলোনার আক্রমণভাগে লিওনেল মেসির শূন্যতা ফুটে ওঠে। ইনজুরির কারণে ম্যাচটিতে ছিলেন না তিনি। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না বার্সা; বরং ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো সোসিয়েদাদ। তবে আলেকসান্দার ইসাকের হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। আট মিনিট পর ডি-বক্সে ফাঁকা বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন পোর্তু।
কিছুক্ষণ পর ইসাকের আরেকটি শট প্রতিহত করেন টের স্টেগান।
ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। ৩৯তম মিনিটে গ্রিজম্যানের উড়িয়ে মারা বল দক্ষতার সঙ্গে হেড দিয়ে জালে জড়ান তিনি। ৫১ মিনিটে সমতায় ফেরে সোসিয়েদাদ। এ সময় বক্সের মধ্যে ডি ইয়ংয়ের হাতে বল লাগলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তায় পেনাল্টি পায় সোসিয়েদাদ। পেনাল্টি থেকে মাইকেল ওয়ারজাবাল গোল করে সমতা ফেরান। ৬২ মিনিটে ফের লিড নিতে পারতো বার্সেলোনা। তবে দেম্বেেেলর শট পোস্ট ঘেঁষে বের হয়ে যায়।
অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচের ফলাফল না আসলে টাইব্রেকারের গড়ায় ম্যাচটি। টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পৌঁছে যায় বার্সেলোনা।
টাইব্রেকারে জন বাউতিস্তা ও ওয়ারজাবালের শট ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগান। আর সোসিয়েদাদের উইলিয়ান হোসে মারেন পোস্টে। দলটির সফল শটন নেন মিকেল মেরিনো ও আদনান ইয়ানুজাই।
বার্সেলোনার হয়ে প্রথম শট পোস্টে মারেন ডি ইয়ং। পরের দু’টি শটে সফল উসমান দেম্বেলে ও মিরালেন পিয়ানিচ। উড়িয়ে মারেন আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। শেষে রিকি পুইগ জালে বল পাঠালে আনন্দে ভাসে বার্সা শিবির।