শুধু তাই নয়। ট্রাম্পই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যাকে কংগ্রেস দুইবার ইমপিচড বা অভিশংসন করেছে।
শুধু তাই নয়। ট্রাম্প দুইবারই পপুলার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে বাইডেন প্রায় ৭০ লাখ পপুলার ভোটে হারিয়েছেন। ২০১৬ সালেও হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ২ লাখের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে হিলারি ট্রাম্পের কাছে হেরে গেলে ট্রাম্প-ই ক্ষমতা পান।
এখানেই শেষ নয়। ২০১৮ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালেই মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ বা 'হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস'-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা যার মধ্য দিয়ে তারা বিগত আট বছরে প্রথমবারের মত কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। ডেমোক্র্যাট ওবামার আমলেও যা ছিল রিপাবলিকানদের দখলে।
২০২০ সালে এসে ট্রাম্প পপুলার এবং ইলেক্টোরাল কলেজ দুই রকমের ভোটেই বাইডেনের কাছে হারেন। ২০২১ সালের শুরুতেই ট্রাম্পের ক্ষমতার একেবারে শেষের দিকে সিনেটের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয় ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্প কর্তৃক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরেও ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানো, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উস্কানি দেয়া ইত্যাদি নানা কারণেই সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতছাড়া হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।