It`s a beautiful comment. Thank you.
ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী আমাদের নুর
বঙ্গবন্ধুর আমলের ২০ পরিবার এখন ২৫৩ পরিবার হয়েছে। আর এগুলো হয়েছে প্রতিবাদ না করার কারনে। তাদের অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর না
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে শিক্ষা, শিল্প, চাকরি ক্ষেত্রে মোটকথা অর্থনৈতিক বৈষম্য চরম আকার ধারণ করে। আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করার পর থেকে উন্নয়নের কথা বলে গণতন্ত্র হীনতার সংস্কৃতি চালু করে দেয়। প্রকারান্তরে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে। অর্থনৈতিক বৈষম্যের যাঁতা কলে পিষ্ট হতে হতে আমরা পূর্ব পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। ৬০ এর দশকে পাকিস্তানের ২২ ধনী পরিবারের কথা আলোচনা সমালোচনার তুঙ্গে ওঠে। দেশের মোট সম্পদের ৮০ ভাগেরও বেশি তাদের দখলে ছিলো। কিন্তু, তারা কেউ হাজার বা শত কোটি টাকারও মালিক ছিলো না। বড়ো জোর ৫/৬ কোটি টাকার মালিক ছিলো। কেউ কেউ মাত্র ৩ কোটি টাকার সম্পদের মালিক ছিলো। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটা বিরাট ইস্যূ ছিলো ২২ পরিবার। পাকিস্তানের ব্যাংক, বীমা, শিল্প কারখানা সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। আমরা বৈষম্যহীন একটা সমাজ বিনির্মানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র জারি করা হয়। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার ছিলো সেই ঘোষণা পত্রের মূল কথা। রক্ত গঙ্গা পেরিয়ে এবং মা বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে বটে কিন্তু, অর্থনৈতিক বৈষম্যের দেয়াল আরো অটুট হয়েছে। ২২ পরিবারের স্থান দখল করেছে কতো হাজার পরিবার তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এরা আবার শত শত, হাজার হাজার, এমনকি লক্ষ হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পত্রের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হয়নি। বৈষম্যের দেয়াল প্রকটভাবে উঁচু থেকে উঁচুতে উঠেছে। রাস্তায় ফুটপাতে স্টেশনে স্বাধীন দেশের নাগরিকদের আবাস। রাস্তায় বেরুলে ভিক্ষুকদের আকুতি দেখে মনে প্রশ্ন জাগে এই তো আমার স্বাধীনতা! এই যে একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুক। স্বাধীনতা অর্জনে কোনো কোনো ভাবে তারও অবদান ছিলো। এখন একটা বিশেষ শ্রেণি মরমে মরমে স্বাধীনতা ভোগ করে যাচ্ছে। বিশেষ সম্পদশালীদের যাকাতের টাকাও যদি শরিয়তের নিয়মানুসারে আদায় ও বন্টন করার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে একজন ভিক্ষুকও থাকতো কিনা সন্দেহ। এক শ্রেণির শ্রমিক তৈরি পোশাক কারখানায় সকাল থেকে রাত অবধি হাড়ভাংগা খাটুনি খেটে অর্থনীতির মেরুদণ্ড সোজা রাখে। আরেক শ্রেণির শ্রমিক বিদেশের মাটিতে অমানুষিক কায়ক্লেশের মধ্য দিয়েও বৈদেশিক রেমিট্যান্সের ভান্ডার সমৃদ্ধ করে। আর আরেক শ্রেণির মানুষ ব্যাংক লুট করে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। বেগম পাড়ার কারবারি হয়ে ওঠে। সেকেন্ড হোমের মালিক। তাদের পরিবারবর্গ, ছেলে মেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে। বিদেশি সংস্কৃতি শেখে। আর লুটেরার দল শুধু কেবল এদেশের আমজনতারা সাথে দূষিত বাতাসটাই গ্রহণ করে। এদেশে তারা থাকে শুধু টাকা পাচার করার জন্য। পর্বত শৃঙ্গের মতো এদের বিপুল পরিমাণ সম্পদের স্তুপ। রাশি রাশি সম্পদ এরা জমা করে রাখে। গরীবদেরও ঠিকমতো দেয় না। ধন সম্পদ জমা কারিদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "দুর্ভোগ রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে (সামনে পেছনে মানুষের) নিন্দা করে। যে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ জমা করে এবং তা গুণে গুণে রাখে। সে মনে করে এ অর্থ তাকে স্থায়ী করে রাখবে। বরং, নির্ঘাত সে অল্প দিনের মধ্যেই চূর্ণবিচূর্ণকারী আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে। তুমি কি জানো চূর্ণবিচূর্ণকারী আগুন কেমন? এ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার প্রজ্জ্বলিত এক আগুন। যা মানুষের হৃদয়ের ওপর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। (গর্ত বন্ধ করে) তাদের ওপর ঢাকনা দিয়ে রাখা হবে। উঁচু উঁচু থামের মধ্যে রাখা হবে।" সূরা আল হুমাযাহ্ঃ১-৯। কিন্তু এরা জানেনা, নিজের অজান্তেই সম্পদের মোহ এদেরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এদের কথাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মজিদে বলেন, "অধিক সম্পদ লাভের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে গাফেল করে রেখেছে। এমনি করেই তোমরা কবরের কাছে গিয়ে হাজির হবে। এমনটি কখনো নয়, তোমারা জানতে পারবে। কখনো নয়, তোমারা অতি শীঘ্রই জানতে পারবে। (কতোই না ভালো হতো) যদি তোমরা সঠিক জ্ঞান কি তা জানতে পারতে! অবশ্যই তোমারা জাহান্নাম দেখতে পাবে। অতপর অবশ্যই তোমারা নিজ চোখে তা দেখতে পাবে। অতপর (আল্লাহ তায়ালার অগণিত) নেয়ামত সম্পর্কে তোমাদের সেদিন জিজ্ঞেস করা হবে।" সূরা আত্ তাকাসুরঃ১-৮। বৈধ অবৈধ যে কোনো পন্থায় শুধু টাকা, শুধু সম্পদের পাহাড় গড়ার নেশা। এদের লুটপাট থেকে অর্থনীতি বাঁচাতে না পারলে বৈষম্য কোনো দিনও ঘুচবেনা। সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা কোনো কালে অর্জন করা সম্ভব হবে না। সুতরাং, দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার রোধ করে অর্থনৈতিক সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
Nuruleaks may spell the end of VP Nur's political career. In case the gifted student leader survives the wrath of the mafia families, Bangladesh may have a better future.
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে শিক্ষা, শিল্প, চাকরি ক্ষেত্রে মোটকথা অর্থনৈতিক বৈষম্য চরম আকার ধারণ করে। আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করার পর থেকে উন্নয়নের কথা বলে গণতন্ত্র হীনতার সংস্কৃতি চালু করে দেয়। প্রকারান্তরে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে। অর্থনৈতিক বৈষম্যের যাঁতা কলে পিষ্ট হতে হতে আমরা পূর্ব পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। ৬০ এর দশকে পাকিস্তানের ২২ ধনী পরিবারের কথা আলোচনা সমালোচনার তুঙ্গে ওঠে। দেশের মোট সম্পদের ৮০ ভাগেরও বেশি তাদের দখলে ছিলো। কিন্তু, তারা কেউ হাজার বা শত কোটি টাকারও মালিক ছিলো না। বড়ো জোর ৫/৬ কোটি টাকার মালিক ছিলো। কেউ কেউ মাত্র ৩ কোটি টাকার সম্পদের মালিক ছিলো। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটা বিরাট ইস্যূ ছিলো ২২ পরিবার। পাকিস্তানের ব্যাংক, বীমা, শিল্প কারখানা সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। আমরা বৈষম্যহীন একটা সমাজ বিনির্মানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র জারি করা হয়। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার ছিলো সেই ঘোষণা পত্রের মূল কথা। রক্ত গঙ্গা পেরিয়ে এবং মা বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে বটে কিন্তু, অর্থনৈতিক বৈষম্যের দেয়াল আরো অটুট হয়েছে। ২২ পরিবারের স্থান দখল করেছে কতো হাজার পরিবার তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এরা আবার শত শত, হাজার হাজার, এমনকি লক্ষ হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পত্রের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হয়নি। বৈষম্যের দেয়াল প্রকটভাবে উঁচু থেকে উঁচুতে উঠেছে। রাস্তায় ফুটপাতে স্টেশনে স্বাধীন দেশের নাগরিকদের আবাস। রাস্তায় বেরুলে ভিক্ষুকদের আকুতি দেখে মনে প্রশ্ন জাগে এই তো আমার স্বাধীনতা! এই যে একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুক। স্বাধীনতা অর্জনে কোনো কোনো ভাবে তারও অবদান ছিলো। এখন একটা বিশেষ শ্রেণি মরমে মরমে স্বাধীনতা ভোগ করে যাচ্ছে। বিশেষ সম্পদশালীদের যাকাতের টাকাও যদি শরিয়তের নিয়মানুসারে আদায় ও বন্টন করার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে একজন ভিক্ষুকও থাকতো কিনা সন্দেহ। এক শ্রেণির শ্রমিক তৈরি পোশাক কারখানায় সকাল থেকে রাত অবধি হাড়ভাংগা খাটুনি খেটে অর্থনীতির মেরুদণ্ড সোজা রাখে। আরেক শ্রেণির শ্রমিক বিদেশের মাটিতে অমানুষিক কায়ক্লেশের মধ্য দিয়েও বৈদেশিক রেমিট্যান্সের ভান্ডার সমৃদ্ধ করে। আর আরেক শ্রেণির মানুষ ব্যাংক লুট করে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। বেগম পাড়ার কারবারি হয়ে ওঠে। সেকেন্ড হোমের মালিক। তাদের পরিবারবর্গ, ছেলে মেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে। বিদেশি সংস্কৃতি শেখে। আর লুটেরার দল শুধু কেবল এদেশের আমজনতারা সাথে দূষিত বাতাসটাই গ্রহণ করে। এদেশে তারা থাকে শুধু টাকা পাচার করার জন্য। পর্বত শৃঙ্গের মতো এদের বিপুল পরিমাণ সম্পদের স্তুপ। রাশি রাশি সম্পদ এরা জমা করে রাখে। গরীবদেরও ঠিকমতো দেয় না। ধন সম্পদ জমা কারিদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "দুর্ভোগ রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে (সামনে পেছনে মানুষের) নিন্দা করে। যে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ জমা করে এবং তা গুণে গুণে রাখে। সে মনে করে এ অর্থ তাকে স্থায়ী করে রাখবে। বরং, নির্ঘাত সে অল্প দিনের মধ্যেই চূর্ণবিচূর্ণকারী আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে। তুমি কি জানো চূর্ণবিচূর্ণকারী আগুন কেমন? এ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার প্রজ্জ্বলিত এক আগুন। যা মানুষের হৃদয়ের ওপর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। (গর্ত বন্ধ করে) তাদের ওপর ঢাকনা দিয়ে রাখা হবে। উঁচু উঁচু থামের মধ্যে রাখা হবে।" সূরা আল হুমাযাহ্ঃ১-৯। কিন্তু এরা জানেনা, নিজের অজান্তেই সম্পদের মোহ এদেরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এদের কথাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মজিদে বলেন, "অধিক সম্পদ লাভের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে গাফেল করে রেখেছে। এমনি করেই তোমরা কবরের কাছে গিয়ে হাজির হবে। এমনটি কখনো নয়, তোমারা জানতে পারবে। কখনো নয়, তোমারা অতি শীঘ্রই জানতে পারবে। (কতোই না ভালো হতো) যদি তোমরা সঠিক জ্ঞান কি তা জানতে পারতে! অবশ্যই তোমারা জাহান্নাম দেখতে পাবে। অতপর অবশ্যই তোমারা নিজ চোখে তা দেখতে পাবে। অতপর (আল্লাহ তায়ালার অগণিত) নেয়ামত সম্পর্কে তোমাদের সেদিন জিজ্ঞেস করা হবে।" সূরা আত্ তাকাসুরঃ১-৮। বৈধ অবৈধ যে কোনো পন্থায় শুধু টাকা, শুধু সম্পদের পাহাড় গড়ার নেশা। এদের লুটপাট থেকে অর্থনীতি বাঁচাতে না পারলে বৈষম্য কোনো দিনও ঘুচবেনা। সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা কোনো কালে অর্জন করা সম্ভব হবে না। সুতরাং, দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার রোধ করে অর্থনৈতিক সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
ইনশাআল্লাহ
চমক দেখানোর গলাবাজি।জনগনকে বিভ্ভ্রান্ত করার অপকৌশল মাত্র।
তিনদিনের যোগি হইয়া ভাতরে কয় অন্ন।
পোস্টারিং কবে হবে? তাহলে পোস্টার শেয়ার করতে পারবো।
ধন্যবাদ মানব জমিন
Thank you, The Manabzamin for publishing this news. I hope this news cast will not be deleted.
মোঃইমরান MD. EMRAN
১৪ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:০৪সেলুট ভিপি নুরুল হক নুর ভাইকে