× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য

বাংলারজমিন

মো. আনিসুজ্জামান, খুলনা ব্যুরো
১৫ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

খুলনায় মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এলাকাভিত্তিক গ্রুপ তৈরি করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে তরুণ-যুবকরা। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে চক্রের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতে নগরীর লবণচরা বান্দাবাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় পুলিশের সোর্স শফিকুল ইসলাম (৩৫) নিহত ও মহানগর ডিবি’র সহকারি উপ-পুলিশ পরিদর্শক ইমরান আলী সরদারসহ আরও দুইজন আহত হলে চাঞ্চল্য  তৈরি হয়। এরপরই খুলনায় কারা মাদক ব্যবসায় জড়িত, কাদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা চলে এ ধরনের প্রশ্ন তোলেন নাগরিক নেতারা। অপরদিকে মাদক কারবারীদের হামলায় এক সোর্স নিহত এবং এক এএসআই ও অন্য দুই সোর্স আহত হওয়ার ঘটনায় লবনচরা থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় মহানগর ডিবি’র একটি টিম ও তিনজন সোর্সসহ লবণচরা থানাধীন বান্দাবাজার এলাকায় একটি ইয়াবা ব্যবসায়ী চক্রকে আটক করতে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মাদক কিনতে যায় পুলিশের সোর্স।
এ সময় ডিবি’র এএসআই এমরান আলী এক মাদক বিক্রেতাকে জাপটে ধরেন। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আকস্মিক ৮/১০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীরা ওই পুলিশ সদস্য ও তাদের সোর্স এর উপর হামলা চালায়। এ সময় এলোপাতাড়ি চাইনিজ কুড়াল, ছুরি ও রড দিয়ে তাদের আঘাত করে। অতর্কিত আক্রমণে অভিযান টিমের সাথে থাকা ২ জন সোর্স ও এক পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হলে তাদেরকে চিকিংসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক সোর্সকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের এএসআই এমরান আলী (৩৩) ও সোর্স মো. মনির আহমেদ (২৮) আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এমরানের মাথা, হাত ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া সোর্স মনিরের হাতে, পিঠে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তাদের উভয়ের শরীরে বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া লেগেছে। তাছাড়া রনি শেখ (৩৫) নামের আরেক সোর্সকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত শফিকুল ইসলাম ফুলতলা উপজেলার উত্তর আলকা গ্রামের মৃত গফুর বিশ্বাস ছেলে। আহত সোর্স মনির হোসেন ফুলতলা সদরের মৃত ইসমাঈল হোসেন মকবুলের পুত্র ও রনি শেখ (৩৫) খানজাহান আলী থানার আটরা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত গণি শেখের পুত্র। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের সহযোগীদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ। এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে লবণচরা থানায় হত্যা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের পৃথক মামলা করেছে।
খুমেকে চিকিৎসাধীন আহত ডিবি’র এএসআই এমরান আলী বলেন, ঘটনাস্থলে যেয়ে এক মাদক বিক্রেতাকে ধরার সাথেই আকস্মিক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৮/১০ জন আমাদের উপর হামলা চালায়। দুলাল নামের এক মাদক বিক্রেতাকে জাপটে ধরেছিলেন বলে তিনি জানান।
খুমেকে চিকিৎসাধীন সোর্স মনির হোসেন বলেন, আমাদের উপর আকস্মিক হামলা চালানো হয়। কথা বলতে কষ্ট হওয়ায় তিনি আর কিছু বলেননি। তবে তার স্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভালো কাজ করতে যেয়ে আজ তার (স্বামীর) এ অবস্থা হয়েছে। আর এখানে একটা বেডও পেলাম না। বারান্দায়ও জায়গা হলো না। সিঁড়ির পাশে পথচারীদের ধুলায় এখানে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর