খুলনা জেলা থেকে প্রথম ধাপে করোনা ভ্যাকসিনের ৯৭ হাজার ডোজের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ করোনার এই মহামারি সময়ে সম্মুখসারির প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই চাহিদার কথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করা হয়েছে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে করোনার টিকা পৌঁছাবে বাংলাদেশে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এটি মানুষকে দেয়া সম্ভব হবে। এ বিষয়ে প্রথমদিকে কারা টিকা নিতে পারবেন, কতজন নিতে পারবেন, ইতিমধ্যে সে তথ্যও নির্ধারণ ও প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। তৃণমূলে এই টিকা সঠিকভাবে পাঠানোর উদ্দেশ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটি গঠন করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, করোনার টিকা প্রদানের প্রাথমিক প্রস্তুতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক সভাপতি ও তিনি সদস্য সচিব এবং সংসদ সদস্যদের উপদেষ্টা করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। খুলনায় যেহেতু ওয়াল্ক ইন কুলার রুম টাইপ ফ্রিজ নেই।
এটি খুলনা বিভাগের গোপালগঞ্জে আছে। সেহেতু করোনার টিকা সংরক্ষণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে খুলনায় ব্যবহৃত হবে আইস লার্নিং রেফ্রিজারেটর। সে লক্ষ্যে জেলার ৩৩টি আইএলআর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আরও ১০টি আইএলআর মেশিনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এছাড়া করোনার টিকা দেয়ার সঙ্গে যারা মাঠ পর্যায়ে যুক্ত থাকবেন তাদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকা থেকে সিদ্ধান্ত এলেই তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।