ব্রিসবেনের গ্যাবায় ৩৩ বছর ধরে অপরাজিত অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৮ সালে শেষবার গ্যাবায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর এই মাঠে ৩১ টেস্টের ২৪টিতেই জয় অস্ট্রেলিয়ার। ড্র ৭ ম্যাচে। ব্রিসবেনে শেষ টানা সাত টেস্টে জয়ের স্মৃতি অজিদের । আর কুইন্সল্যান্ডের এই স্টেডিয়ামে ভারতের পরিসংখ্যান সুখকর নয়। ৬ টেস্টের পাঁচটিতেই হার। একমাত্র ড্র ২০০৩ সালে।
শুক্রবার গ্যাবার পেস স্বর্গে শুরু হওয়া সিরিজ নির্ধারণী চতুর্থ টেস্টে খেলছে চোট জর্জর এক ভারত। সিডনি টেস্টের দল থেকে ছিটকে গেছেন পেসার জসপ্রিত বুমরাহ, ব্যাটসম্যান হনুমা বিহারী ও অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। বিরাট কোহলি প্রথম টেস্ট খেলেই পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফেরেন। ভারত অ্যাডিলেডের ৩৬ রানে অলআউটের দুঃখ ভুলে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মেলবোর্নে। সিরিজে সমতা ফেরানোর পর সিডনিতে চেতশ্বর পূজারা-হনুমা বিহারী-রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের ব্যাটিং বীরত্বে তৃতীয় টেস্ট বাঁচিয়ে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন টিকে রয়েছে ভারতের। স্মরণীয় সেই ড্রয়ের ম্যাচে বুমরাহ, জাদেজা ও বিহারীকে হারায় সফরকারীরা। ছিটকে গেছেন লোকেশ রাহুলও। তাতে শক্তি আরো কমেছে অজিঙ্কা রাহানের দলের। ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়া সফরে আসতেই পারেননি ইশান্ত শর্মা। মোহাম্মদ শামি চোট পান প্রথম টেস্টে। দ্বিতীয় টেস্টে ইনজুরিতে পড়েন উমেশ যাদব।
ব্রিসবেনে ভারতকে পেস আক্রমণ সাজাতে হবে অনভিজ্ঞদের নিয়ে। স্কোয়াডে থাকা চার পেসারের মধ্যে ‘অভিজ্ঞ’ মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি খেলেছেন মাত্র দুই টেস্ট। নবদিপ সাইনির অভিষেক হয়েছে সিডনি টেস্টে। শার্দুল ঠাকুরের অভিজ্ঞতা এক টেস্টের। নটরাজন রয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায়। এর আগের অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় সেটা ছিল এশিয়ার কোনো দলের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। তরুণ ভারতের সামনে এবারো ইতিহাস গড়ার হাতছানি। সেজন্য জয় করতে হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন দূর্গ। গত দুই দশকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবচেয়ে সফল দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দু’দলই জিতেছে ৫টি করে টেস্ট। ব্রিসবেনে জিতলে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি প্রোটিয়াদের ছাড়িয়ে যাবে ভারত।