সাভারের আমিনবাজারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সালেহপুর সেতুর গার্ডারে ফাটল দেখা দেয়ায় দ্বিতীয়দিনের মতো এক লেন দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। অন্য লেনটি মেরামতের জন্য বন্ধ থাকায় মহাসড়কতে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। এ সময় সালেহপুর সেতুর উভয় পাশের দীর্ঘ যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। সকাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দেখার জন্য বিভিন্নস্থান থেকে আগত উৎসুকরাও ভিড় জমাচ্ছে। এদিকে গতকাল সকালে সেতুটি পরিদর্শন করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খাঁন। তিনি বলেন, গতকাল দুপুর থেকে গার্ডারে ফাটল ধরা সেতুটির কাজ শুরু হয়েছে এবং দ্রুত মেরামতের পর তা যান চলাচলের জন্য উপযোগী করা হতে পারে। পুরো সেতুটি মেরামত করতে আরো ১০ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে।
অন্যদিকে সেতুটির পাশে খুব শিগগিরই চার লেনের একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত বুধবার রাতে সালেহপুর সেতুটির ৮টি বীমের মধ্যে ৪টিতে ব্যাপক ফাটল দেখা দেয়। এছাড়া সেতুটির এক পাশ দেবে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেতুর এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তাই দ্রুত সেতুটি মেরামত এবং যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে সড়ক বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সাভার হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সেতুর গার্ডারে ফাটলের কারণে গত বুধবার সালেপুরে পূর্ব পাশের সেতু বন্ধ করে পশ্চিম পাশের সেতু চালু রাখা হয়। চালু রাখা সেতুটি সরু হওয়ার কারণে ওই সেতুর উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর এর প্রভাব পড়ে নবীনগর-চন্দ্রা ও আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কে। এই দুই সড়কে রাত তিনটা পর্যন্ত তীব্র যানজট অব্যাহত থাকে। যানজটের খবর পেয়ে অনেক যানবাহন বিকল্প পথে চলাচল করছে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল যানবাহনের চাপ কিছুটা কমেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শামীম আল-মামুন বলেন, গার্ডারে ফাটল মেরামতে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ।