× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখতে বাংলাদেশে আসতে চান বেলজিয়ামের রাজা

অনলাইন

কূটনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৫, ২০২১, শুক্রবার, ৮:০২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের প্রশংসনীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখার জন্য বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ।

ব্রাসেলসে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ রাজপ্রাসাদে রাজার কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বেলজিয়ামের রাজা রাষ্ট্রদূত সালেহর কাছ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোগত অগ্রগতিসহ বাংলাদেশের অন্য অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে শোনেন।

রাজা ফিলিপ ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সফরের বিষয়টি স্মরণ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সালেহ্ বেলজিয়ামের রাজার কাছে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

তিনি বলেন, রাজা দম্পতি তাদের সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করলে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণ আনন্দিত হবে। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে রাজ দম্পতির সফর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে এবং দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে।

রাজা ফিলিপ বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত সালেহ এ সময় দু’দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান অত্যন্ত আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং বাংলাদেশের কয়েকটি সম্ভাবনাময় খাত যেমন- ওষুধশিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিল্পে বেলজিয়ামের বিনিয়োগকারীদের সম্ভাব্য বিনিয়োগের কথা তুলে ধরে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত সালেহ রাজা ফিলিপকে রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন এবং ২০১৯-২০ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে এ বিষয়ে বেলজিয়ামের সহযোগিতামূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন। জোরপূর্বক বাস্ত্যুচুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বেলজিয়ামসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মিয়ানমারের উপর অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করাসহ অন্য কার্যকরী ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথা রাষ্ট্রদূত বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে একটি আনুষ্ঠানিক গাড়ি বহরযোগে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী এবং প্রথম সচিব ফখরুদ্দিন আহামেদ রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর