আট বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে জো রুট শতক ছাড়া বছর শেষ করেছেন মাত্র দুইবার। প্রথম সেঞ্চুরি বিহীন বছর ২০১২ সালে। অভিষেকের বছর জো রুট খেলেছিলেন মাত্র এক টেস্ট। দ্বিতীয়বার তিন অঙ্ক না ছুঁয়ে রুটের বছর শেষ করার ঘটনা ২০২০ সালে। করোনা ভাইরাস মহামারির বছরে ৮ টেস্টে ফিফটি চারটি। সেঞ্চুরি খরা কাটাতে দেরি করলেন না রুট। বছরের প্রথম টেস্টে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ১৬৮ রানে অপরাজিত রুট।
শ্রীলঙ্কার করা ১৩৫ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ৩২০ রান করেছে ইংল্যান্ড। গল টেস্টে ১৮৫ রানে এগিয়ে সফরকারীরা। শনিবার রুটের সঙ্গে তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জস বাটলার (৭*)। গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের অনেকটা সময় ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। ৩০ মিনিট দেরিতে মাঠে গড়ায় দ্বিতীয় দিনের খেলা। বৃষ্টির বাগড়ায় দিনের শেষ সেশনে মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। মাঝের সময়টায় চলেছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের দাপট। ২ উইকেটে ১২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন জনি বেয়ারস্টো (৪৭ রান)। অভিষিক্ত ড্যানিয়েল লরেন্সের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৭৩ রানের জুটি গড়েন ইংলিশ টেস্ট অধিনায়ক জো রুট। চতুর্থ উইকেটে শ্রীলঙ্কার মাটিতে এটা ইংলিশদের সর্বোচ্চ রানের জুটি। লরেন্স (৭৩ রান) ফিরেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়ে। ১৬৩ বলে ১৮তম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান রুট। ১৫ ইনিংস পর তিন অঙ্কের দেখা পেলেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
রয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির পথে।সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৩৫ (৪৬.১ ওভার) (চান্দিমাল ২৮, ম্যাথুস ২৭, বেস ৫/৩০, ব্রড ৩/২০)
ইংল্যান্ড (১ম ইনিংস): ৩২০/৪ (৯৪ ওভার) (রুট ১৬৮*, লরেন্স ৭৩, বেয়ারস্টো ৪৭, এম্বুলদেনিয়া ২/১৩১)